ঘুমের ওষুধ যেভাবে ঘুম পাড়ায়, তা খুবই ভয়ঙ্কর



Odd বাংলা ডেস্ক: বিশ্বে সবচেয়ে লম্বা সময় ধরে ঘুমিয়ে রেকর্ড গাড়েছিলেন কে জানেন? পিটার পাওয়ার নামের একজন ব্রিটিশ হিপনোটিস্ট। যিনি এক বা দুইদিন নয় টানা ঘুমিয়েছিলেন আট দিন। তবে অনেনেই নিদ্রাহীনতার সমস্যায় ভুগে থাকেন। রাত হলেই এপাশ ওপাশ করে সময় কাটে তাদের। এজন্য অনেকেই ঘুমের ওষুধে ভরসা রাখেন। প্রতি রাতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে চোখের পাতা বুজেন সাত থেকে আট ঘণ্টার জন্য। রাতে ঘুমের সমস্যার কারণে ঘুমের ওষুধ খাওয়া খুবই কম বিষয়। কিন্তু জানেন কি? 

ঘুমের ওষুধ আমাদের দেহে কীভাবে কাজ করে? স্লিপিং পিল কি, আমাদের দেহে প্রবেশ করে মস্তিষ্ককে হিপনোটাইজ করে দেয়? নাকি রহস্যটা লুকয়ে আছে অন্য কোথাও? দৈনিন্দিন ঘটনায় আমরা যখন খুব উদ্বিগ্ন বা সতর্ক থাকি অথবা যখন আমরা কোনো কারণে ব্যাপক খুশি বা এক্সাইটেড থাকি তখন আমাদের মস্তিষ্কের স্নায়ু খুবেই সক্রিয় অবস্থায় থাকে। এ স্নায়ুগুলো শিথিল না হওয়া পর্যন্ত আমরা তন্দ্রাচ্ছন্ন হতে পারি না। ঘুমের ওষুধগুলো প্রধানত এই স্নায়ুগুলোকেই টার্গেট করে। পেটে যাওয়ার পর রক্তের সঙ্গে মিশে ওষুধগুলো মস্তিষ্কে পৌঁছায়। এরপর ধীরে ধীরে স্নায়ুগুলোকে কিছুক্ষণের জন্য দুর্বল করে দেয়। সেইসঙ্গে ধীরে ধীরে ঘুমের ঘোরে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ি আমরা। 

 কিছু কিছু ঘুমের ওষুধে মেলাটোনিন নামক এক প্রকার হরমোন থাকে। আমাদের নিয়মিত ঘুম ও জেগে ওঠার চক্র নিয়ন্ত্রণ করে এই হরমোন। রাতের বেলায় অন্ধকার পরিবেশে এই হরমোনের কারণেই আমরা ঘুমিয়ে পড়ি। যাদের ঘুম চক্রে বিশৃঙ্খলা থাকে, তাদেরকে মেলাটনিনযুক্ত ওষুধ দেন চিকিৎসকরা। ঘুমের ওষুধের ক্ষেত্রে কিছু নিরব প্রতিক্রিয়ার কথা না বললেই নয়! যে ওষুধগুলো কিছু সময়ের জন্য স্নায়ুগুচ্ছকে শিথিল করে দেয়, নিয়মিত সে ওষুধ খেলে মস্তিষ্ক দুর্বল স্নায়ুগুলোকেই স্বাভাবিক মনে করে বসে। ফেলে সেই স্নায়ুগুচ্ছের কার্যকারিতা দীর্ঘদিনের জন্য দুর্বলই থেকে যায়। ফলে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হতে পারে আপনার স্মৃতিশক্তি। কিছু কিছু ঘুমের ওষুধে ডাইফেন-হাইড্রামিন নামক একটি উপাদান থাকে। 

এই উপাদানটি সরাসরি মস্তিষ্কের একটি নিউরো-ট্রান্সমিটার কার্যক্রমে বাধা দেয়! ফলে পেশির সক্রিয়তা কমে গিয়ে দুর্বল হতে থাকে শরীর। একই উপাদানের কারণে নতুন কিছু শেখার আগ্রহ নষ্ট হয়। সেই সঙ্গে বিনামূল্যে পাওয়া যায় ডিমনেশিয়া বা ভুলে যাওয়া রোগ। একটি কথা সবসময় মনে রাখা উচিত- প্রকৃতিকে সবসময় নিজ ছন্দে এগিয়ে যেতে দিন। নয়ত প্রলয় সৃষ্টি করে হলেও, তার ছন্দ সে মেরামত করে নেবেই।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.