ধূমপায়ীদের ফুসফুস পরিষ্কার করবেন কীভাবে?
Odd বাংলা ডেস্ক: স্বাস্থ্যের জন্য খুবই খারাপ একটি অভ্যাস হচ্ছে ধূমপান। যা মৃত্যুরও কারণ। যদিও অনেকেই চেষ্টা করে এই বদ অভ্যাস ত্যাগ করতে, কিন্তু পারেন না। কারণ ধূমপান নামক ক্ষতিকারক অভ্যাস ছেড়ে দেয়া তাদের জন্য একপ্রকার অসম্ভব মনে হয়।
নিশ্চয়ই জানেন, ধূমপান ফুসফুসকে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ধূমপানের কারণে ফুসফুসে বিষাক্ত পদার্থ জমা হয়। এর ফলে ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ক্যান্সারও হতে পারে। তবে কিছু পদ্ধতি মেনে চললে খুব সহজেই ধূমপায়ীরা ফুসফুস থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে পারেন। চলুন জেনে নেয়া যাক সে পদ্ধতিগুলো সম্পর্কে-
লেবুর শরবত
ফুসফুস শক্তিশালী ও বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে প্রতিদিন সকালে কুসুম গরম জলে লেবুর শরবত বানিয়ে পান করতে পারেন। প্রতিদিন সকাল কুসুম গরম জলে লেবুর শরবত বানিয়ে পান করলে ফুসফুস শক্তিশালী ও বিষাক্ত পদার্থ দূর হয়।
দুগ্ধ জাতীয় খাবারকে না
ফুসফুস পরিষ্কার রাখতে হলে দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার বাদ দিতে হবে। কারণ দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার ফুসফুস পরিষ্কার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে।
আনারস
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার প্রাকৃতিকভাবেই ফুসফুস পরিষ্কার করে। আনারসের জুস এবং ক্র্যানবেরির জুস নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখুন। এসব ফলের জুসে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি।
গ্রিন টি
গ্রিন টি অন্ত্রের বিষাক্ত পদার্থ দূর ও ফুসফুসকে পরিষ্কার রাখে। গ্রিন টি সবার ক্ষেত্রেই উপকারী।
আদা
ঠাণ্ডায় নাক বন্ধ হওয়া রোধে ঘরোয়া দাওয়াই হলো আদা। তবে ধূমপায়ীদেরও ফুসফুস পরিষ্কার করতে পারে আদা। প্রতিদিন এক টুকরো আদা চিবালে শ্বাসতন্ত্র ও ফুসফুস থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর হয়।
গাজরের জুস
ফুসফুসকে পরিষ্কার রাখতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে গাজরের জুস। প্রতিদিন দুই বেলা এই জুস খেলে ফুসফুস শক্তিশালী হয়।
পুদিনা পাতা
পুদিনা পাতা ফুসফুসের যেকোনো সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করতে পারে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পুদিনা পাতা রাখুন।
যোগব্যায়াম
নিয়মিত যোগব্যায়াম করলে ফুসফুস পরিষ্কার ও শক্তিশালী হয়। যোগব্যায়ামের ক্ষেত্রে গভীর শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে হয়, যা আপনার শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়।
Post a Comment