বেঁচে থাকলে সুশান্ত সিং রাজপুতও কি মাদকচক্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হতেন?


Odd বাংলা ডেস্ক: সুশান্তের মৃত্যু রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে বেরিয়ে এল বলিউডের ড্রাগ চক্র। যাকে এককথায় বলা চলে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে পরা। মাদকচক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো গ্রেফতার করেছে সুশান্তের চর্চিত বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী এবং তাঁর ভাই শৌভিক চক্রবর্তীকে। আর এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে এই ড্রাগ চক্রের সঙ্গে সুশান্ত সিং রাজপুতের জড়িয়ে থাকার বিষয় নিয়েও! 

এনসিবির জেরায় আগেই শৌভিক জানিয়েছিলেন যে, দিদি রিয়ার কথামতোই ড্রাগ পাচারকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন শৌভিক এবং তাদের কাছ থেকেই ড্রাগের যোগান পেত। এরপর জেরার মুখে রিয়া নিজে স্বীকার করেন যে, তিনি সুশান্তের জন্য মাদক আনাতেন এবং তিনি যা করেছেন সবটাই সুশান্তের জন্য। প্রথমে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে রিয়া জোর গলায় বলেছিলেন যে, তিনি কখনওই ড্রাগ নেননি এবং তিনি রক্ত পরীক্ষা করার জন্যও প্রস্তুত। কিন্তু এনসিবি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে এই বক্তব্যে আটকে থাকলেও পরে প্রশ্ন-পাল্টা প্রশ্নের ভিড়ে আর নিজেকে সামলে রাখতে না পেরে ভেঙে পড়েন রিয়া। আর নিজে মুখেই জানান যঠে, তিনি সুশান্তের জন্য ড্রাগ আনতেন। 


প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার সকালে রিয়া এবং শৌভিকের আবাসনে পৌঁছায় নারকোটিক্স ব্যুরোর তদন্তকারী দল। তল্লাশির পর শৌভিকের ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করে এনসিবি। তল্লাশি শেষে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শৌভিককে সঙ্গে নিয়ে যান তদন্তকারী আধিকারিকরা। দিনভর জেরার পর সন্ধেবেলা গ্রেফতার করা হয় শৌভিক চক্রবর্তীকে। একইদিনে গ্রেফতার করা হয় সুশান্তের হাউস ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডাকেও। এরপর শনিবার জিজ্ঞাসাবাদ এবং বয়ান রেকর্ডের জন্য সুশান্তের রাঁধুনি দীপেশ সাওয়ান্তকেও তাঁকে গ্রেফতার করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। 


আর এরপরই উঠেছে সেই চাঞ্চল্যকর তথ্য, যেখানে দাবি করা হচ্ছে তাহলে কি গোটা বিষয়টা সুশান্তের প্রশয়েই হত? এমনকি এও দাবি করা হচ্ছে যে, সুশান্ত যদি আজ বেঁচে থাকতেন এবং গোটা বিষয়টা তখন প্রকাশ্যে আসত, তাহলে কি সুশান্তও গ্রেফতার হতেন?! তবে এপ্রসঙ্গে যে বিষয়টি মনে রাখা দরকার তা হল রিয়া-সৌভিক-স্যামুয়েল মিরান্ডা-দীপেশ সাওয়ান্ত সুশান্তকে নিয়ে যা যা দাবি করেছেন, তা তাঁদরে অভিযোগমাত্র এখনও তা আদালতে প্রমাণিত নয়।  
Blogger দ্বারা পরিচালিত.