বাড়িতে যদি শঙ্খ থাকে তাহলে এই কাজগুলো ভুলেও করবেন না, তাহলে আর্থিক অবস্থা কখনোই ভালো হবে না

Odd বাংলা ডেস্ক: হিন্দু সংস্কৃতির সঙ্গে শঙ্খের যোগ অনেক দিনের। প্রাচীন কাল থেকেই পূজা অর্চনার কাজে লেগে এসেছে এই উপাদানটি। শঙ্খ একটি প্রাকৃতিক উপাদান। প্রকৃতিই এই জিনিসটি আমাদের দিয়েছে। শাস্ত্র মতে পুজো করার আগে ও পড়ে শঙ্খ বাজানো হয়। এর ফলে গৃহে শুভ শক্তির প্রভাব বৃদ্ধি পায়, খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা কমে যায়। ভাগ্য ফিরে যায়।

বাড়িতে প্রতিদিন শঙ্খ বাজালে কুদৃষ্টি আর কালো যাদুর প্রভাব কেটে যায়। জীবন সুখ শান্তি ও আনন্দে ভরে ওঠে। এই কারনেই প্রতিদিন শঙ্খ বাজানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে বাড়িতে শঙ্খ রাখলে কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত। তার আগে জেনে নেওয়া যাক শঙ্খের কাহিনী।

সমুদ্র মন্থনের সময় সমদ্র থেকে উঠে এসেছিলো শঙ্খ। তা স্থান পেয়েছিল বিষ্ণুর হাতে। বিশ্বাস করা হয় চন্দ্র, সূর্য এবং বরুন দেব শঙ্খের নীচে অবস্থান করেন। শঙ্খের মধ্যভাগে থাকে প্রজাপতি আর বাকি অংশে অবস্থান করেন মা গঙ্গা এবং সরস্বতী।

বলা হয় বাড়িতে শঙ্খ রাখলে এই সকল দেব দেবীর আশির্বাদ পাওয়া যায়। এবার জেনে নেওয়া যাক বাড়িতে শঙ্খ রাখলে কি কি নিয়ম মেনে চলা উচিত…

১। ঠাকুর ঘরের দরজা খোলার আগে শঙ্খ বাজাতে হবে - প্রতিদিন সকালে ঠাকুর ঘরের দরজা খোলার আগে শঙ্খ বাজানো উচিত। শঙ্খ না বাজিয়ে ঠাকুর ঘরের দরজা খুললে দেবতাদের আশির্বাদ থেকে বঞ্চিত হতে হয়।

২। ভুলেও বাড়িতে শঙ্খানি রাখবেন না - শঙ্খ দু প্রকারের হয়। পুরুষ শঙ্খ ও মহিলা শঙ্খ। পুরুষ শঙ্খ পূজা অর্চনার কাজে লাগে। কিন্তু মহিলা শঙ্খ বাড়িতে রাখলে অমঙ্গল হয়। নেগেটিভ শক্তির প্রভাব পড়ে বাড়িতে।

৩। বাজানোর আর পুজোর শঙ্খ আলাদা করতে হবে - পুজো করার সময় দু রকমের শঙ্খ ব্যবহার করা হয়। একটি শঙ্খ বাজানো হয়, আর একটি শঙ্খ ঠাকুরকে জল দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হয়। যে শঙ্খ বাজানো হয় সেই শঙ্খ দিয়ে জল দেওয়া উচিত নয়। কারন আমরা যখন শঙ্খ মুখ দিয়ে বাজাই তখন তা মুখের সংস্পর্শে শুদ্ধ থাকেনা।

৪। ভগবান বিষ্ণুর আগমন ঘটে - হিন্দু শাস্ত্র বলে শঙ্খ বাজালে সেই সময় গৃহে বিষ্ণুর আগমন ঘটে। ফলে পরিবারের সব দুঃখ দূর হয়। সেই সঙ্গে ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদে সামাজিক এবং কর্মজীবনেও সম্মান বৃদ্ধি পায়।

৫। শঙ্খের মুখ দেবতার দিকে রাখতে হয় - শঙ্খের মুখ দেবতাদের দিকে রাখলে তবেই বাড়িতে পসিটিভ শক্তির বিকাশ ঘটবে। আর ভুলেও কখনো শঙ্খের জল শিবলিঙ্গের উপরে ফেলবেন না।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.