চাঁদ সম্পর্কে আপনার অবশ্যই এই তথ্যগুলি জানা উচিত
Odd বাংলা ডেস্ক: মহাবিশ্বে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের উপগ্রহ হচ্ছে চাঁদ। চাঁদ নিয়ে গবেষণার পর বিজ্ঞানীরা নানা তথ্য দিয়েছেন। রয়েছে নানা গালগল্পও। চাঁদে নাকি গাছ রয়েছে। এমনকি উপগ্রহটিতে চাঁদের বুড়ি নাকি ছোট ঘরে বসবা করে সূতা কেটে সময় পার করেন। এসব গল্প গ্রহণযোগ্য না হলেও বাস্তবেই এখনো মানবজাতির জন্য চাঁদ এক রহস্যময় উপগ্রহ। প্রতিনিয়ত চাঁদ সম্পর্কে তথ্য জানাচ্ছেন নাসাসহ মহাকাশ নিয়ে নানা সংস্থার বিজ্ঞানীরা। চাঁদ সম্পর্কে কিছু অজানা বিস্ময় তথ্য তুলে ধরা হলো:-
* চাঁদ আসলে ডিম্বাকৃতি। চাঁদের দিকে তাকালেই এর ছোট দুই প্রান্তের কোন একটিকে দেখতে পাবেন। চাঁদের ভরের কেন্দ্র ঠিক এর জ্যামিতিক কেন্দ্রে অবস্থিত নয়। এটি জ্যামিতিক কেন্দ্র থেকে ১.২ মাইল দূরে রয়েছে।
* পৃথিবীর গতি ধীর হওয়ার জন্য চাঁদকে দায়ী করা হয়। পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে চাঁদ চলে এলে জোয়ার সৃষ্টি হয়। নতুন বা ফুল মুনের পরপরই এ রকম হয়।
* একটি পূর্ণ চাঁদের চেয়ে ১৪ গুণ মাত্রায় বেশি উজ্জ্বল হচ্ছে সূর্য। সূর্যের মতো উজ্জ্বলতায় জ্বলতে হলে প্রায় চার লাখ পূর্ণ চাঁদ আলো ছড়াতে হবে। চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদ পৃথিবীর ছায়ার ভেতরে চলে গেলে চন্দ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা দেড় ঘণ্টারও কম সময়ে ৫০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট কমে যেতে পারে।
* চাঁদের দিকে তাকানোর পর উপগ্রহটির ৫৯ শতাংশ দেখতে পাই আমরা। পৃথিবী থেকে চাঁদের বাকি অংশ কখনোই দেখা যায় না। আবার চাঁদ থেকে পৃথিবীর ৪১ শতাংশ দেখা যাবে না।
* ক্রাকাতোয়া আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্নুৎপাতের পর ১৮৮৩ সালে 'ব্লু মুন' পরিভাষার জন্ম হয়েছিল বলে ধারণার জন্ম নেয়। সেসময় অগ্নুৎপাতের ফলে বায়ুমণ্ডলে প্রচুর ধুলো ও ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছিল। তখন পৃথিবী থেকে চাঁদের দিকে তাকালে একে দেখতে নীল মনে হয়েছিল। আর এ থেকেই 'ওয়ান্স ইন এ ব্লু মুন' কথাটি তৈরি হয়েছে। বিরল কোনো ঘটনার ইঙ্গিত দিতে এই বাক্যটি ব্যবহার করা হয়।
* ১৯৮৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় চাঁদ সম্পর্কে অবগত হওয়ার একটি জরিপ চালানো হয়েছিল। জরিপে অংশ নেয়া ১৩ শতাংশ লোকের বিশ্বাস, চাঁদ পনির দিয়ে তৈরি।
* যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের সামরিক শক্তি রাশিয়াকে দেখাতে একবার চাঁদের ওপর পারমানবিক বোমা হামলার কথা চিন্তা করেছিল। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার অত্যন্ত গোপনীয় এ পরিকল্পনার নাম ছিল 'এ স্টাডি অফ লুনার রিসার্চ ফ্লাইটস' অথবা 'প্রজেক্ট এ১১৯।'
* চাঁদকে যখন ক্রিসেন্টের আকারে বা অর্ধচন্দ্রাকৃতির মতো দেখি তখন চাঁদ থেকে ছিটকে আসা সূর্যের আলোকেই দেখতে পাই আমরা। আর চাঁদের বাকি অংশ খুব অস্পষ্ট দেখা যায়। সেটাও আবহাওয়ার উপরে নির্ভর করে। শিল্পী লিওনার্দো দা ভিঞ্চি একমাত্র ব্যক্তি যিনি, চাঁদ আসলে সঙ্কুচিত ও প্রসারিত হচ্ছে না বরং এর কিছু অংশ লুকানো থাকার উপলব্ধি করতে পারছিলেন।
* সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যে চাঁদ এসে পড়লে অথবা সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যে চাঁদ এসে দাঁড়ালে সূর্য বা চাঁদের আলো সাময়িকভাবে কমে যায় যা চন্দ্রগ্রহণ কিম্বা সূর্যগ্রহণ হিসেবে পরিচিত।
Post a Comment