বাবার বিড়ির প্যাকেট চুরি, খেতে গিয়ে ধরা, পরে জুতার ধোলাই



Odd বাংলা ডেস্ক: ভারতের হরিয়ানার জাট পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন দেশটির তারকা ক্রিকেটার বীরেন্দ্র শেবাগ। ছোট বেলা থেকেই ক্রিকেটের প্রতি তার ছিল অন্যরকম ভালোবাসা। মাত্র ১২ বছর বয়সে ক্রিকেট খেলতে গিয়ে নিজের দাঁত ভেঙে ফেলেছিলেন বীরু। সাধারণত খেলার কারনেই শিশু-কিশোররা মার খেয়ে থাকে। তবে শেবাগ মার খেয়েছিলেন বাবার বিড়ির প্যাকেট চুড়ি করে!

ক্রিকেটের প্রতি প্রেম ও যোগ্যতার জোরেই ভারতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছিলেন শেবাগ। ছোট বেলায় খুব দুষ্টু ছিলেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শেবাগ বলেন, আমরা চার ভাই বোন। তবে যৌথ পরিবারে মানুষ হয়েছি। সবাই নিজেদের মাঝে ক্রিকেট খেলতাম। বারো বছর বয়সে ক্রিকেট খেলতে গিয়ে নিজের দাঁত ভেঙে ফেলি। তখন বাবা আমার খেলা বন্ধ করে দেন।

টেস্টে দুটি ট্রিপল সেঞ্চুরি করা এই ব্যাটসম্যান বলেন, পড়াশোনা না করে অতিরিক্ত খেলার জন্য একাধিকবার মায়ের হাতে মার খেয়েছি। একবার জুতো দিয়েও মা আমাকে পিটিয়েছিলেন। তবে সেটা খেলার জন্য নয়।

ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে শেবাগ বলেন, ছোট বেলায় আমি একবার বাবার বিড়ির প্যাকেট চুরি করেছিলাম। পরে বাড়ির সামনে হাসপাতালের দেয়ালে বসে ভাই ও কাকার ছেলেরা মিলে একসঙ্গে বিড়ি খাচ্ছিলাম। সেই সময় আমি ধরা পড়ে যাই। তখন আমাকে জুতো ও লাঠি দিয়ে পেটানো হয়েছিল।

একসময়ের দুষ্টু শেবাগই পরে হয়ে উঠেছিলেন ভারতের অন্যতম প্রধান ব্যাটসম্যান। ক্রিজে যতক্ষণ থাকতেন বোলারদের চোখের জল-নাকের জল এক করে ছাড়তেন তিনি। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.