গান্ধীজী যেতেন নিষিদ্ধ পল্লী, জানুন এক অজানা ঘটনা


Odd বাংলা ডেস্ক:  ছোটো থেকেই এক মুসলমান বন্ধুর সঙ্গে খুব মেলামেশা করতেন  মহাত্মা গান্ধী। তার হাত ধরেই প্রথম গো-মাংস ভক্ষণের অভিজ্ঞতাও হয় তাঁর। সেই গান্ধী একবার নিষিদ্ধা পল্লীও গিয়েছিলেন।তার বাবা করমচাঁদ উত্তমচাঁদ গান্ধী ছিলেন পোরবন্দরের দিওয়ান, আর মা পুতলিবাই ছিলেন এক সমৃদ্ধ প্রণমী বৈষ্ণব পরিবারের মেয়ে। শিশু গান্ধী যথেষ্ট রঙিন মেজাজের ছিলেন। প্রথাগত কোনোকিছু স্বতঃসিদ্ধভাবে মেনে নেয়া তার স্বভাব ছিল না। প্রতিটি জিনিস যাচাই করে দেখতে তিনি পছন্দ করতেন। কুকুরের কান ধরে মোচড় দেয়া তার প্রিয় খেলা ছিল। বড় ভাইয়ের সূত্রে পরিচিত শেখ মাহতাবের কথায় নিরামিশাষী পরিবারের ছেলে গান্ধী গো-মাংসও ভক্ষণ করেছিলেন। এমনকি শেখের সাথে নিষিদ্ধ পল্লীতেও তিনি গিয়েছিলেন বলে জানা যায়, তবে সেই জায়গা তার ভালো না লাগায় দ্রুত ত্যাগ করেন।
বাল্যকালের বন্ধু শেখ মাহতাবের সঙ্গে গান্ধীজী, Image Source: Wiki


শেখ মাহতাবের কথায় এক পতিতার ঘরে গান্ধী প্রবেশ করেন। সঙ্গে মাহতাবও ছিলেন। তিনি সেই পতিতাকে একটু চা করতে বলেন। সেই চা তিনি পান করেন। তারপর পতিতার সঙ্গে সুখ-দুঃখের গল্প করতে শুরু করেন। পতিতা জানায় যে তাঁর ঘরে সাহেবরাও আসে। গান্ধী তৎকালীন দেশ জুড়ে বিদ্রোহের কথাও তাঁকে বলেন। সারাটা রাত জুড়ে সেই পতিতার সঙ্গে গল্প করেছিলেন গান্ধীজী। তিনি তাঁকে কিছু টাকা দিয়ে সাহায্যও করেছিলেন। গোটা ঘটনা দেখে মাহতাব খুব অবাক হয়েছিলেন। এই ছিল গান্ধীজীর পতিতালয়ে যাওয়ার ঘটনা।  

Blogger দ্বারা পরিচালিত.