গর্ভাবস্থায় ভুলেও এই কাজগুলি করবেন না, সন্তান হতে পারে প্রতিবন্ধী
Odd বাংলা ডেস্ক: প্রতিবন্ধী শব্দটা জীবনে একটি অভিশাপ হলেও সন্তান প্রতিবন্ধী হয় মায়েরই কিছু ভুলের কারণে। মায়ের ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের অসতর্কতায় জন্ম নেওয়া শিশু শারীরিক ও মানসিক ভাবে দূর্বল ও স্বল্পবুদ্ধি হয়। বয়সের সাথে সঠিক বিকাশ হয়না তার। এদেরকেই প্রতিবন্ধী শিশু হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। শিশুর সঠিক শারীরিক বিকাশ না হওয়ার ফলে এক উদাসীনতায় ভোগে এবং সমবয়সী শিশুদের থেকে তারা পিছিয়ে পরে।
বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রতিবন্ধী শিশুরা কোনো এক সময়ে পরিবারের কাছে বোঝা হয়ে ওঠে। তখন তার স্থান হয় কোনো হোমে। এরা সমাজ ও জাতির কাছে সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। সামান্য কিছু সচেতনতার দ্বারা বন্ধ করা যায় প্রতিবন্ধী শিশুর আগমন। শিশুরা করতে পারে সাধারন জীবনযাপন। আসুন জেনেনি প্রতিবন্ধী শিশু জন্মাবার কিছু কারন।
১। গর্ভাবস্থায় মা যদি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ খান তাহলে গর্ভের শিশুর বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ তৈরীতে বাধা সৃষ্টি হতে পারে। ফলে শিশুর প্রতিবন্ধী হওয়ার সম্ভবনা থেকে যায়।
২। মায়ের বয়স যদি খুব অল্প হয় অথবা খুব বেশি হয় অর্থাৎ যদি ৪০ বছরের বেশি হয় তাহলে শিশুর জন্মের সময় ঝুঁকি থেকেই যায়।
৩। মা যদি গর্ভাবস্থায় ঘন ঘন খিঁচুনি রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে শিশুর অক্সিজেনের অভাব ঘটতে পারে, ফলে শিশু মানসিক রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
৪। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেখা যায় নিকট আত্মীয়দের মধ্যে বিয়ে হলে তাদের শিশুর প্রতিবন্ধী হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
৫। মায়ের শরীরে কোনো তেজস্ক্রিয় পদার্থের প্রবেশ ঘটলে বা বাবা মায়ের রক্তে (Rh) উপাদান থাকলেও হতে পারে শিশুর সমস্যা।
৬। শিশু জন্মের সময় মাথায় জোড়ে আঘাত পেলে সেই শিশু হতে পারে প্রতিবন্ধী। শিশু ছোটো বেলায় পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পেলেও সমান সমস্যা হতে পারে।
একটু সচেতন হলে শিশুর জন্মের পরেই যদি প্রতিবন্ধকতা শনাক্ত করা যায় তাহলে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করে এই সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া সম্ভব। প্রতিবন্ধকতা রোধ করতে গর্ভাবস্থায় পুষ্টিকর খাদ্য খেতে হবে। ওষুধ সেবনে সতর্ক থাকতে হবে এবং সুস্থ পরিবেশে শিশুকে লালনপালন করতে হবে। বেশি বয়েসে গর্ভধারন রোধ করতে হবে।
Post a Comment