বাড়ির মহিলাদের দিয়ে এই সাতটি কাজ ভুলেও করাবেন না
Odd বাংলা ডেস্ক: বাস্তু মতে কোন পরিবারেই সুখ সমৃদ্ধি নিজে থেকে আসেনা, তার জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। অনিয়ম হলেই সংসারে দেখা দেয় নানান অশান্তি, অভাব। আর পরিবারের সুখ শান্তি বজায় রাখার জন্য মহিলাদের বিশেষ ভূমিকা থাকে। কিছু কিছু এমন কাজ থাকে যা বাড়ির মহিলাদের করতে নেই। আসুন জেনে নিন কি কি সেই কাজ…
১। ঘর বাড়ি পরিষ্কার করা- বাস্তু মতে সূর্যাস্তের পর ঘর বাড়ি পরিষ্কার করা একদম অনুচিত। এমন করলে মা লক্ষ্মী সেই বাড়ি থেকে বিদায় নেন। আর আপনার বাড়িতে নেগেটিভ শক্তির প্রভাব পড়ে। আপনার অর্থনৈতিক পরিস্থিতিও খারাপ হতে থাকে। তাই বাড়ির মহিলারা কখনোই সূর্যাস্তের পর ঘর বাড়ি পরিষ্কার করবেন না।
২। স্নান করা- আমাদের অধিকাংশ বাঙালী বাড়িতে মহিলারা সারাদিন বাড়ির কাজ করে ক্লান্ত হয়ে বিকেল ৩টে বা ৪টের পর স্নান করে তারপর দুপুরের খাবার খান, কিন্তু বাস্তু মতে এরকম করা উচিত নয়। সকাল বেলায় বাড়ির মহিলাদের স্নান করে নেওয়া উচিত। এমন করলে পরিবারে সুখ শান্তি বজায় থাকে। সেই সঙ্গে মা লক্ষ্মী আপনার উপর প্রসন্ন হন। আপনার আর্থিক অবস্থারও উন্নতি হয়।
৩। রান্না করা- একথা মানা হয় যে পরিবারের জন্য রান্না করার অর্থ ভগবানের জন্য রান্না করা। তাই পরিবারের উন্নতির জন্য সকালে স্নান করে পুজো সেরে তারপর রান্না করা উচিত। কিন্তু বেশিরভাগ বাড়িতে এই নিয়ম মানা হয়না।
৪। খাবার খাওয়ার নিয়ম- শাস্ত্র মতে লক্ষ্মী পুজো করে তাকে প্রসাদ নিবেদন করে তবেই বাড়ির মহিলাদের খাবার খাওয়া উচিত। এমনটা না হলে মা লক্ষ্মী রেগে যান, ফলে সুখের ঝাপি খালি হতে বেশি সময় লাগেনা।
৫। চুল আঁচড়ানোর নিয়ম- গৃহস্তের সুখ সমৃদ্ধি বজায় রাখতে চাইলে ভুলেও সন্ধ্যার পর চুল আঁচড়াবেন না। এমন কাজ মা লক্ষ্মীর একদম অপছন্দ। এর ফলে মা আপনার গৃহ ত্যাগ করতে পারে।
৬। কথায় কথায় রেগে যাওয়া- যে বাড়ির মহিলারা কথায় কথায় খুব রেগে যায় আর চিৎকার করে সেই বাড়িতে লক্ষ্মী কখনোই থাকেনা। অশুভ শক্তি আপনার বারিকে চারিদিক থেকে ঘিরে ধরে। আপনার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা।
৭। আয়নার অবস্থান- যে বাড়িতে মহিলারা থাকেন সেই বাড়িতে বিভিন্ন জায়গায় আয়না থাকবেই। কিন্তু আয়নার ব্যাপারে যে বিষয়টি মনে রাখা দরকার সেটা হল আপনি যে আলমারি বা সিন্দুকে টাকা রেখেছেন তার সামনে আয়না রাখতে কখনোই ভুলবেন না। এমন করলে আপনার অর্থনৈতিক উন্নতি হবে।
Post a Comment