ধর্ষণ করে তা নিয়ে বই লেখার প্রস্তুতি নিচ্ছিল ধর্ষক! ইংরেজিতে এমএ, ৮টি ভাষাতে রয়েছে দক্ষতা


Odd বাংলা ডেস্ক: ধর্ষকের এমন বিচিত্র কাণ্ড-কারখানা কি কেউ কখনও দেখেছেন, না কেউ কখনও শুনেছেন। ৫০ বছরের ধবল ত্রিবেদীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ এমনই অবাক করা। গত কয়েক বছর ধরে একের পর এক মহিলা এবং নাবালিকাকে ধর্ষণ করে গিয়েছে ধবল ত্রিবেদী। কুকীর্তি ফাঁস হওয়ার পর পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালানোর চেষ্টা করলেও অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ে সে। ধরা পড়ে আজব দাবি করে ধবল। সে জানায় ধর্ষণ করে ধর্ষিতাদের নিয়ে বই লেখার পরিকল্পনা ছিল তার। সেই বইয়ের নামও ঠিক করা ছিল, 'টেন পারফেক্ট উইমেন ইন মাই লাইফ'। গুজরাট, ওড়িশা, পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড ঘুরে অবশেষে রবিবার হিমাচল প্রদেশের সোলাং থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার হয়। গ্রেফতারির পর তার জবানিতে এমন পরিকল্পনার কথা শুনে কার্যত হতবাক পুলিশ! 

সূত্রের খবর, ২০১২ সালে প্রথমবার দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল ধবল ত্রিবেদীকে। অভিযোগ, ১৬ বছরের দুই নাবালিকাকে টানা ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে ধর্ষণ করেছে সে। এই মামলায় গুজরাতের একটি আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেয়। সেখান থেকে গত ২০১৮ সালে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে ফের শুরু হয় অপরাধ! আরও এক নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এখানেই থামে না সে, আরও এক নাবালিকাকে নিয়ে পালিয়ে যায় ধবল। মামলা যায় সিবিআই-এর হাতে। অবশেষে সিবিআই-এর তরফে তাকে ধরে দিয়ে পারলে ৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। এরপর ২০২০ সালে অপহৃত হওয়া মেয়েটিই পুলিশকে ধবলের খোঁজ দিয়ে জানায় যে সে লুধিয়ানায় গা ঢাকা দিয়েছে। 

তবে ধর্ষককে সাধারণ মানের ভাবলে ভুল করবেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ১৯৭০ সালে জন্ম নেওয়া ধবল ত্রিবেদী গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতক। তার বাব ভাদোদরা কলেজে দর্শনের অধ্যাপক। পুলিশ জানিয়েছে, ধবল উচ্চশিক্ষিত, বুদ্ধিমান এবং ৮টি ভাষায় দক্ষতা রয়েছে তার। এমনকি বিভিন্ন স্কুলে কখনও শিক্ষক , আবার কখনও অধ্যক্ষের পদের দায়িত্বও সামলেছে সে। পুলিশ আরও জানায়, বিভিন্ন ছদ্মনাম ব্যবহার করে এবং নিজের পরিচয় গোপন করে একের পর এক অপরাধ করে গিয়েছে সে।

পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে ১৯৯৬ সালে বিয়ে করে ধবল কিন্তু তার স্ত্রী বিয়ের কয়েক মাস পরেই মারা যান। এরপর ১৯৯৮ সালে দ্বিতীয়বার বিয়ে করে সে, দ্বিতীয় পক্ষে তার ১টি কন্য সন্তানও রয়েছে। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.