মনের ইচ্ছা পূরণ করতে এই মন্দিরের দেবতাকে চিঠি লেখেন ভক্তরা, ভক্তদের চিঠি পড়ে শোনানো হয় প্রভুকে


Odd বাংলা ডেস্ক: ঈশ্বরে বিশ্বাস থাকলে ঈশ্বরের কাছে নিজের মনের ইচ্ছা পৌঁছে দেওয়ার জন্য অনেকে অনেক রকমের পন্থা অবলম্বন করেন। অনেকে ঈশ্বরের নাম-সংকীর্তন করেন, কেউ বা মন্দিরের সুতো বা কা কাপর বাঁধেন, কিন্তু ঈশ্বরকে চিঠি লেখার কথা কখনও কেউ ভেবেছেন? সরাসরি দেবতাকে চিঠি লিখে নিজের মনের কথা, নিজজের সুখ-দুঃখের কথা বলেছেন কেউ কখনও? অনেকের মনে হতে পারে এ আবার কেমন কথা! ঈশ্বরকে আবার চিঠি লেখা যায় কেমন করে! 

তবে এমনটাও সম্ভব। রাজস্থানের রণথম্বোরে সোয়াই মাঝোপুরের গণেশ মন্দিরে এমনটাই হয়ে আসছে সুপ্রাচীনকাল থেকে। এই মন্দিরের দেবতা গণেশ এখানে ত্রিনেত্র অর্থাৎ এখানে গণেশের তিনটি চোখ রয়েছে। তাই এই মন্দিরকে ত্রিনেত্র মন্দিরও বলা হয়ে থাকে। জানা যায়, এই মন্দিরে গণেশের কাছে চিঠি লিখে নিজেদের কথা জানান ভক্তরা। সেই সব চিঠির মধ্যে বিভিন্ন আবেদন-নিবেদন, শ্রদ্ধাজ্ঞাপন এমনকি আইনি আবেদনও থাকে। সেই সব চিঠি গণেশ মুর্তির পায়ের কাছে রাখেন পূজারীরা। দিনের একটা সময়ে সব চিঠি গণেশ মুর্তির সামনে বসে তাঁরা পড়েন। বিশ্বাস করা হয়, এভাবেই নাকি ঈশ্বরের কাছে পৌঁছে যায় পৌঁছে যায় মনের কথা। 

রণথম্বোরের গণেশ মন্দিরের একটি ঐতিহাসিক গুরুত্বও রয়েছে। জানা যায়, মহারাজ হামীরের সঙ্গে যখন আলাউদ্দিন খিলজির যুদ্ধ চলছিল। তখন টানা কয়েক বছর ধরে লড়াই চলার পর দু-পক্ষেরই অস্ত্র, সেনা, রসদ ফুরিয়ে এসেছিল। এই পরিস্থিতিতে এক রাতের অন্ধকারে চিন্তিত রাজা হামীর গণপতি বাপ্পার কাছে প্রার্থনা করেন। সেই রাতেই গণেশকে তিনি স্বপ্নে দেখেন। তিনি দেখেন যে গণেশ তাঁকে সাফল্যের আশীর্বাদ দান করছেন। পরদিন সকালে হামীরের প্রাসাদের দেওয়ালে একটি তিন চোখের গণেশ মুর্তি ফুটে ওঠে। এর কদিন পরেই যুদ্ধে জয়লাভ করেন হামীর। এরপরই রণথম্বোরে গণেশ মন্দির স্থাপনের নির্দেশ দেন তিনি। শুধু একা গণেশ নন, এখানে একই সঙ্গে পূজিত হন তাঁর দুই স্ত্রী রিদ্ধি এবং সিদ্ধি এবং তাঁর দুই সন্তান শুভ ও লভরি।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.