শুক্রকে নিজেদের গ্রহ বলে দাবি রুশ মহাকাশ গবেষণা সংস্থা প্রধানের




Odd বাংলা ডেস্ক: পৃথিবীর দখলদারিত্ব এবার ছড়িয়ে পড়ছে মহাকাশেও। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা শুক্রগ্রহে প্রাণের অস্তিত্বের ইঙ্গিত পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। এরপরই হঠাৎ রাশিয়া দাবি করে বসলো, শুক্র গ্রহটি তাদের সম্পত্তি৷ মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, রাশিয়ান মহাকাশ গবেষণা সংস্থার প্রধান দিমিত্রি রোগোজিন বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, 'শুক্র গ্রহের অন্বেষণ পুনরায় শুরু করা আমাদের পরিকল্পনার বিষয়। আমরা মনে করি শুক্র রাশিয়ান গ্রহ। তাই আমাদের পিছিয়ে থাকা উচিত নয়।' শুক্র গ্রহে বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি প্রাণের সম্ভাব্য অস্তিত্বের ইঙ্গিত পাওয়ার একদিন পরেই রাশিয়ান মহাকাশ গবেষণা সংস্থার প্রধান এই বিবৃতি দেন। বৃহস্পতিবার মস্কোয় হেলিকপ্টার শিল্পের একটি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী 'হেলিরুশিয়া ২০২০' অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় সাংবাদিকদের এ কথা জানান রোগোজিন। মস্কো টাইমসকে দিমিত্রি বলেন, 'আমাদের দেশ প্রথম এবং একমাত্র দেশ, যারা শুক্র গ্রহের মাটি ছুঁয়েছে৷ আমরা মনে করি ভেনাস রাশিয়ার একটি গ্রহ, সুতরাং আমাদের পিছিয়ে থাকা উচিত নয়।' রাশিয়ার ২০২১- ২০৩০ মহাকাশ অনুসন্ধান কর্মসূচিতে ভেনাস বা শুক্র গ্রহের মিশন অন্তর্ভূক্ত রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। পৃথিবীর প্রায় সমান আকৃতির শুক্র গ্রহটি আমাদের সবচেয়ে কাছের প্রতিবেশী। কিন্তু এটি পৃথিবীর তুলনায় বিপরীত দিকে ঘোরে। সম্প্রতি নেচার অ্যাস্ট্রনমিতে এ সংক্রান্ত একটি প্রবন্ধে কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জেন গ্রিভসের নেতৃত্বে একটি আন্তর্জাতিক গবেষক দল জানিয়েছে, গ্রহটিকে ঘিরে রাখা মেঘে ফসফিন গ্যাসের অস্তিত্ব আছে। যা গ্রহটিতে প্রাণের অস্তিত্ব থাকার ধারণা দেয়। ফসফিন পৃথিবীর অন্যতম বিষাক্ত গ্যাস। ব্যাকটেরিয়া বা মাইক্রোবের মতো অণুজীব থেকে এ গ্যাস উৎপন্ন হয়। তবে অক্সিজেন ছাড়া আবার ব্যাকটেরিয়া এ গ্যাস নিঃসরণ করতে পারে না। তাই শুক্র গ্রহে ফসফিনের অস্তিত্বের পেছনে এমন কোনো কারণ থাকলে, সেখানে প্রাণের উৎপত্তি বিকাশের পরিবেশ রয়েছে বলে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.