সন্তান থাকুক নিরাপদে! বাচ্চা সামলাতে ৭০% মায়ের ভরসা এখন স্মার্টফোন



Odd বাংলা ডেস্ক: আমাদের প্রায় সমগ্র দুনিয়াটাই বর্তমানে মোবাইল ফোন ঘিরে। শুধু মোবাইল ফোন বলে সম্বোধন করলে ভুল হবে, এটি হল স্মার্ট ফোন। হাতের মুঠোর স্মার্ট ফোনটাই ঘিরে রয়েছে আমাদের সব কিছু। টাকা দেওয়া, বাজার করা, জামা কাপড় কেনা, এমনকি এখন কাউকে দেখার ইচ্ছে হলেই চটজলদি তাকে দেখেও নেওয়া, সাথে কথপকথনও চোখের পলকেই সম্ভব হচ্ছে স্মার্ট ফোনের দৌলতে।

এই সাহায্যগুলি ছাড়াও স্মার্ট ফোন আরেকটি কাজেও খুব সাহায্য করছে, তা হল বাচ্চা সামলানো। হ্যাঁ ঠিকই  শুনেছেন, স্মার্ট ফোন এখন বাচ্চা সামলানোর কাজেও হাত লাগাচ্ছে। শুধু ফেসবুক হোয়াটস্যাপ নয়, সন্তান সামলাতে এখন মায়েদের ভরসা এই স্মার্ট ফোন।

থ্রিজি ফোরজি জামানায় এখন শয়ে শয়ে কিলো বাইট নেমে যায় নিমেষেই, সেই সুযোগ নিয়ে চোখের পলকেই নামিয়ে নেওয়া যায় এক প্যারেন্টিং অ্যাপ, পাওয়া যায় বাচ্চা সামলানোর হাজারটি টিপস। নানা কারনে বর্তমান যুগে জয়েন্ট ফ্যামিলি বা যৌথ পরিবার ভেঙ্গে নিউক্লিয়াস পরিবার গঠিত হচ্ছে।


সেই সব ছোট পরিবারে স্বামী স্ত্রী আর সন্তান সন্ততি, কোন গুরুজনের পরামর্শ নেওয়ার সুযোগ সুবিধে কমে গেছে, তাই সেই সব পরামর্শ খুব একটা মেলে না বললেই চলে। আর এখনকার আধুনিকারা সে সমস্ত কিছু খুব একটা মানেও না, তারা অনেক বেশি নির্ভর এখন হাতের মুঠোর ওই যন্ত্রটির ওপর। দক্ষ অভিবাবক হয়ে ওঠার হাতিয়ার এখন স্মার্ট ফোনই, এমনটাই বলছে ইউগভ এর সমীক্ষা।

পরিস্থিতি বদলেছে, এখন বছর তিনের শিশুও ব্যাবহার করতে পারে মোবাইল, দেখতে পারে কার্টুন ভিডিও। সেভাবে বলা যায় বাচ্চারাও এখন স্মার্ট আর স্মার্ট বাচ্চাদের সামলাতে স্মার্ট টিপসও জরুরি।

ইউগভ এর সমীক্ষা থেকে জানা গেছে যে নানা দেশের প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ মহিলারা ব্যাবহার করেন এই ধরনের প্যারেন্টিং অ্যাপ এবং প্রায় এক-চল্লিশ ভাগ মহিলা ইন্টারনেটের বিভিন্ন ব্লগে চোখ রাখেন নিয়মিত।

এই সমীক্ষা আরও বলেছে যে, এমন সাতশ জন মাকে পাওয়া গেছে যারা মোবাইল ঘেঁটেই বাচ্চা সামলাবার টিপস পেয়েছেন এবং যাদের সন্তানের বয়েশ বারো থেকে আঠারো মাস তারাই বেশি ব্যাবহার কারে এই অ্যাপ গুলি।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.