১০ বছর ধরে ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে এই শিক্ষক! বিয়ের প্রলোভন দেখিয়েও বিয়ে করতে নারাজ
Odd বাংলা ডেস্ক: ঘটনা বাংলাদেশের। বিয়ের প্রলোভনে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় এক ছাত্রীকে ১০ বছর ধরে ধর্ষণ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার বিকেলে ওই ছাত্রীর বাবা আহাদ মিয়া পাকুন্দিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি চরতেরটেকিয়া মৌজা বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তার বাড়ি উপজেলার চরতেরটেকিয়া গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের নুরুজ্জামানের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ছাত্রীটি ২০১০ সালে ওই বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় কাইয়ূমের কাছে প্রাইভেট পড়তেন। এ সময় ওই ছাত্রীটির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন কাইয়ূম। একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দৈহিক সম্পর্কও গড়ে তোলেন তিনি। ২০১৫ সালে এসএসসি পাস করে ছাত্রীটি। বর্তমানে তিনি একটি কলেজে ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত। তিন বছর আগে পারিবারিকভাবে উপজেলার একটি গ্রামে ওই ছাত্রীটিকে বিয়ে দেন তার পরিবার। এরপরও থেমে নেই কাইয়ূম।
ওই ছাত্রীর মুঠোফোনে তার যোগাযোগ অব্যাহত থাকে। তিনি বিভিন্ন সময়ে মুঠোফোনে ওই ছাত্রীর স্বামীকে নানা ধরনের ভয়-ভীতি দেখিয়ে আসছে। পুনরায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্বামীর সংসার ত্যাগ করে তার সঙ্গে চলে আসতে ওই ছাত্রীটিকেও তোষামোদ করছিল। ছাত্রীটি কয়েকদিন আগে তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসে। এ সুযোগে ছাত্রীটিকে ফুঁসলিয়ে ওই শিক্ষক তার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে ছাত্রীর সঙ্গে রাত্রিযাপন করেন তিনি। পরের দিন ৩ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে কাজীর মাধ্যমে বিয়ের জন্য চাপ দিলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় কাইয়ূম। বিষয়টি ওই ছাত্রী মুঠোফোনে তার বাবাকে জানায়। পরে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে ওই বাড়িতে উপস্থিত হয়ে কাইয়ূমের বাবা নূরুজ্জামানকে চাপ দিলেও তিনি বিয়ে করাতে রাজি হননি। পরে আজ মঙ্গলবার বিকেলে পাকুন্দিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন তার বাবা।
ওই ছাত্রীর বাবা আহাদ মিয়া জানান, আমার মেয়ে ওই বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময় কাইয়ূমের কাছে প্রাইভেট পড়ত। এ সুযোগে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে কাইয়ূম। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। মেয়েকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে দিই। সেখান মেয়েটিকে সুখে থাকতে দেয়নি কাইয়ূম। ফুঁসলিয়ে একটি সংসার ভেঙে মেয়েটিকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। বিয়ে করার জন্য চাপ দিলে মেয়েকে বাড়িতে রেখেই সে পালিয়ে যায়। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
অভিযুক্ত কাইয়ূমের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পাকুন্দিয়া থানা ওসি মো. মফিজুর রহমান অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Post a Comment