চাঁদের গায়ে মরচে, জল আর অক্সিজেন এল কোথা থেকে? বিজ্ঞানীরা তুলে ধরলেন চাঞ্চল্যকর তথ্য


Odd বাংলা ডেস্ক: ভারতের প্রথম চন্দ্র অভিযান চন্দ্রযান-১-এর পাঠানো ছবিগুলি থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে, চন্দ্রমেরুতে জমতে পারে মরচে, রবিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং এমনটাই জানিয়েছেন। ২০০৮ সাল লঞ্চ করা হয়েছিল চন্দ্রযান-১। চাঁদে ইসরোর প্রথম চন্দ্রাভিজান চন্দ্রযান-১ এমন চিত্র পাঠিয়েছে যা, দেখে ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে যে, তাঁদের মেরুতে মরচে পড়েছে।

তবে এখানেই উঠছে বড় প্রশ্ন। কারণ চন্দ্রপৃষ্ঠে লৌহ-সমৃদ্ধ পাথর যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে চাঁদে জল ও অক্সিজেন কতটা রয়েছে, তা নিয়ে আজও সংশয় আছে। কারণ মরচে ধরার জন্য লোহা, জল ও অক্সিজেনের উপস্থিতি থাকাটা বাধ্যতামুলক। জল ও অক্সিজেনের সংস্পর্শে আসলেই লোহায় মরচে পড়ে। তাই চন্দ্রযান-১ এর এই ছবি থেকে চন্দ্রপৃষ্ঠে জল এবং অক্সিজেনের উপস্থিতির প্রমাণকে আরও জোরালো করে দিল।


বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা দেখাচ্ছেন হিমামাইট নামক এক বিশেষ অক্সাইড যৌগ চন্দ্রপৃষ্ঠেই রয়েছে। ন্যাশনাল অ্যারোনটিকস অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (নাসা) বিজ্ঞানীদের একাংশ জানিয়েছেন, এই মরচের জন্য দায়ী পৃথিবীই। পৃথিবীর অক্সিজেনই কিছুটা পৌঁছে যায় চাঁদে। এবং কয়েক কোটি বছর আগে চাঁদ পৃথিবীর আরও কাছে থাকার জন্য সেই অক্সিজেন আরও বেশি পরিমাণে পৌঁছেছিল, তাই সৃষ্টি করেছে হিমামাইট।

বিজ্ঞানীরা আরও বলছেন চাঁদের দুই মেরুতে যেখানে জল রয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে, তার থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছে এই মরচে। নাসার বিজ্ঞানীরা বলছেন এমনটা সম্ভব হওয়ার কারণ হল চাঁদে যে ধূলিকনা রয়েছে তা আগেই দেখা গিয়েছে। সেই ধুলিকনাকে ভর করেই লোহার কাছাকাছি পৌঁছেছে জলের কণা। বিজ্ঞানীরা আরও জানিয়েছেন এই অক্সিডেশান সবচেয়ে বেশি হয় পূর্ণিমার দিনগুলিতে। কারণ সেইদিন সৌরবায়ুতে হাইড্রোজেনের উপস্থিতি থাকে না।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.