কলি যুগের বৈশিষ্ট্য, ভবিষ্যতে পৃথিবীতে কী কী ঘটতে চলেছে…


Odd বাংলা ডেস্ক: কলিযুগ হল হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী চার যুগের শেষ যুগ। অন্য যুগ গুলো হল সত্যযুগ, ক্রেতাযুগ ও দ্বাপরযুগ। বেদব্যাস রচিত বিষ্ণু পুরানে বলা হয়েছে, যেদিন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ পৃথিবী ত্যাগ করেছিলেন সেদিন থেকেই পৃথিবীতে কলিযুগের সুচনা হয়েছে। ভগবতে বলা আছে ছলনা, মিথ্যা, আলস্য, নিদ্রা, হিংসা, দুঃখ, সুখ, ভিতি, দীনতা প্রভৃতি হবে এই যুগের বৈশিষ্ট। 

 বিষ্ণু পুরান অনুযায়ী ব্রহ্মা সত্যযুগে সব কিছু সৃষ্টি করেন এবং কলিযুগে সমস্ত কিছু ধ্বংস করেন। বিষ্ণু পুরান অনুযায়ী কম ধনের অধিকারী হয়ে মানুষ এই যুগে বেশি অহংকার করবে। ধর্মের জন্য অর্থ খরচ করবে না। ধর্ম গ্রন্থের ওপর মানুষের আকর্ষণ থাকবে না। মাতা পিতাকে মানবে না। পুত্র পৃত্যি হত্যা বা পিতা পুত্র হত্যা করতে কুণ্ঠিত হবে না। ধর্ম অনুসারে কেউ বিবাহিত থাকবে না। স্ত্রীলোকেরা শুধু নিজের চুলের বাহাদুরি করে নিজেকে সুন্দরী মনে করবে। ধনহীন পতিকে মহিলারা ত্যাগ করবে। আর ধনবান পুরুষরা সেই নারী গনের স্বামী হবেন। 

 কলিযুগে মানুষ ধর্মের জন্য অর্থ ব্যয় না করে কেবল গৃহ নির্মাণের জন্য অর্থ ব্যয় করবে। মানুষ পরকালের চিন্তা না করে কেবল অর্থ উপার্জনের চিন্তায় মগ্ন থাকবে। কলিযুগের নারীরা সাধারণত স্বেচ্ছাচারিণী ও বিলাস উপকরণে অতিশয় অনুরাগিণী হবে এবং পুরুষেরা অন্যায়ভাবে অর্থ উপার্জন করতে অভিলাষী হবে। অসমর্থ মানুষেরা ধনহীন হয়ে নিরন্তন দুর্ভিক্ষ ও ক্লেশ ভোগ করবে। কলিযুগে মানুষ স্নান না করে ভোজন করবে। কলিকালে স্ত্রীলোকেরা নিতান্তই লোভী হবে, বহু ভোজনশিল হবে। মহিলারা দুহাতে মাথা চুলকাতে চুলকাতে অনায়াসে পতি আগ্যা অবহেলা করবে। 

 নারীরা নিজের দেহ পোশাকে ব্যস্ত থাকবে, কঠোর ও মিথ্যা কথা বলবে। কলিকালে চোদ্য থেকে ষোল বছরের বালকরা সহবাসে, বারো থেকে চোদ্য বছরের বালিকারা সন্তান প্রসব করবে। কলিকালে মানুষের বুদ্ধি অতি অল্প হবে, তাদের ইন্দ্রিয় প্রভৃতি অতিশয় অপবিত্র হবে। যখন পাষণ্ড লোকের প্রভাব অত্যন্ত বাড়বে তখন সমাজের ভালো লোকেরা কোন দায়িত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত থাকবে না। কলিযুগে একসময় অল্প বৃষ্টি হবে, ফলে ফসল কম হবে। সুন্দরী স্ত্রী যার তার সাথে বন্ধুত্ব করবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.