কয়েক হাজার নিরীহ রোহিঙ্গাকে হত্যা করেছে মায়ানমারের এই দুই সেনা



Odd বাংলা ডেস্ক: দুটি সংবাদমাধ্যম ও একটি মানবাধিকার সংস্থার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, মিয়ানমারের দুজন পক্ষ ত্যাগকারী সৈন্য রোহিঙ্গা গণহত্যার স্বীকারোক্তি দেবার পর তাদের নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

নিউ ইয়র্ক টাইমস. ক্যানাডিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশন ও অলাভজনক সংস্থা ফর্টিফাই রাইটস বলেছে, উত্তর রাখাইন প্রদেশে এই দুজন সৈন্য বহু গ্রামবাসীকে হত্যার পর গণকবর দেয়ার স্বীকারোক্তি দিয়েছে এবং যে ভিডিওতে এই স্বীকারোক্তি তাঁরা দিয়েছে, সেটি এ বছরই মিয়ানমারে ধারণ করা হয়েছে।

গণমাধ্যমগুলোর উদ্ধৃত করা এই ভিডিও রয়টার্স দেখেনি বলে জানাচ্ছে। নিউ ইয়র্ক টাইমস বলেছে তাদের পক্ষে ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে মন্তব্য জানতে চেয়ে রয়টার্সের করা ফোন কলে কোন সাড়াও দেয়নি মিয়ানমারের সরকার এবং সেনাবাহিনীর মুখপাত্র।
খবরে বলা হয়েছে. এই দুজন সৈন্য বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির হেফাজতে ছিল। গোষ্ঠীটি রাখইনে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ছে। আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকা অবস্থাতেই স্বীকাারোক্তি দেয় তারা। পরে তাদের নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তারা সাক্ষী হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে কিংবা বিচারের মুখোমুখি হতে পারে।

রয়টার্স বলছে, খবরে এটা স্পষ্ট নয়, এই দুজন কী করে আরাকান আর্মির হাতে ধরা পড়লো, কেন তারা কথা বললো এবং কীভাবে এবং কার দায়িত্বে তারা দ্য হেগে পৌঁছালো।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বা আইসিসির একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেছেন, তাদের হেফাজতে এই দুজন নেই। "না, এই খবরগুলো সত্য নয়। এই ব্যক্তিরা আইসিসির হেফাজতে নেই", রয়টার্সকে বলেন ফাদি এল আবদাল্লাহ নামে এই মুখপাত্র বলেন।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.