ভারতের এই গ্রামে ৪০০ বছর ধরে জন্মায় না কোনও শিশু
Odd বাংলা ডেস্ক: দেখতে আর পাঁচটা গ্রামের মতোই। কিন্তু এই গ্রামের রয়েছে অদ্ভুত এক রীতি। এখানে নাকি ৪০০ বছর ধরে কোনও শিশু জন্ম নেয়নি। মধ্যপ্রদেশের রাজগড় জেলায় অবস্থিত শঙ্ক শ্যাম জি গ্রাম। গ্রামে প্রবীণদের দাবি অনুযায়ী, ষোড়শ শতক থেকেই এমন রীতি চলে আসছে এখানে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী এমনটাই জানা গিয়েছে।
গ্রামের লোকেদের বিশ্বাস, এই গ্রামে ঈশ্বরের অভিশাপ রয়েছে। এই গ্রামে যদি কোনও শিশু জন্ম নেয়, তাহলে সেই শিশুটি বিকলাঙ্গ হয়ে যাবে, না হলে শিশুটির মা মারা যাবেন। গ্রামের প্রবীণদের কথায়, ষোড়শ শতকের গ্রামে একটি মন্দির নির্মাণের কাজ চলছিল।
সেই সময়ে এক মহিলা গম ভাঙতে শুরু করেন। সেই আওয়াজের ফলে নির্মাণকাজে ব্যাঘাত ঘটায় ক্ষুব্ধ হন স্বয়ং ঈশ্বর। অভিশপ্ত হয় গোটা গ্রাম।
ফলে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের জন্য গ্রামের সীমানার বাইরে একটি ঘর তৈরি করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন গ্রাম প্রধান নরেন্দ্র গুর্জর। তিনি আরও বলেন, মন্দির নির্মাণের সময় ঈশ্বর এক মহিলা উপর রেগে গিয়েছিলেন। যার ফল ভুগতে হচ্ছে গোটা গ্রামকে। সেই সঙ্গে তিনি জানান, ৯০ শতাংশ মহিলা সন্তান প্রসব করেন হাসপাতালে। জরুরি পরিস্থিতির সময় গ্রামের সীমানার বাইরে যে ঘরটি তৈরি করা হয়েছে, সেখানেই সন্তান জন্ম দেন প্রসূতিরা।
গ্রামের আর এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, গ্রামের মধ্যে মদ কিংবা মাংসও খাওয়াও হয় না। ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট রাখতেই না কি এই রীতি চালু রয়েছে।
Post a Comment