‘ছি! তুমি এতো কাছে’, এমনই রাগ-অভিমান ধরা পড়ছে ট্রাকের পেছনে



Odd বাংলা ডেস্ক: সামাজিক দূরত্ব মেনেই আড্ডা দিচ্ছিলেন কয়েকজন তরুণ-তরুণী। হঠাৎ একজন বলে উঠলেন, ‘ছি! তুমি এতো কাছে।’ সবাই হতবাক, তিন ফুট দূরত্বে বসার পরও এমন কথা কেন শুনতে হলো। ততক্ষণে হাত নাড়িয়ে দেখিয়ে দিলেন ট্রাকের পেছনেই এটি লেখা! এর পরই একজন প্রশ্ন করলেন, ‘সমগ্র ভারত কত টন?’ উত্তর এলো পাঁচ! এই লেখাগুলো পড়ে হাসি পেলেও, অনেক কিছু শেখারও আছে। যেমন- ‘গাছ লাগান, পরিবেশ বাঁচান’, ‘আপনার সন্তানকে স্কুলে পাঠান’, ‘ব্যবহার বংশের পরিচয়’, ‘আমি ছোট, আমাকে মারবেন না’, ‘১০০ গজ দূরে থাকুন’। 

 ট্রাকের পেছনে বেশিরভাগ কথাই কিন্তু অর্থবহ। যেমন- ‘সমগ্র ভারত ৫ টন’ হারহামেশাই লেখা থাকে ট্রাকে। এই লেখাটি মূলত দুটি ভাগে ভাগ করা; ‘সমগ্র ভারত’ ও ‘৫ টন’। ‘সমগ্র ভারত’ মানে হচ্ছে পরিবহনটি পুরো ভারতে চলাচল করে। আপনি দেশের যেকোনো প্রান্তে পণ্য বহনের জন্য ভাড়া করতে পারবেন। আর ‘৫ টন’ মানে পরিবহনটি ৫ টন ওজনের মালামাল বহনে সক্ষম। মনস্তাত্ত্বিক দিক থেকে বিচার করলে এসব লেখাকে চার ভাগে ভাগ করা যায়— প্রতিদ্বন্দ্বীতামূলক, রাজনৈতিক ও সামাজিক চেতনামূলক, ধর্মীয় ও সংস্কারমূলক এবং সমাজজীবনের খণ্ডচিত্র। 

 ‘হিংসা করো না, চেষ্টা করো’ এমন বাক্যকে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক লেখার অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। কখনো কখনো সামাজিক বা রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাও লেখায় ছায়াপাত করে। যেমন- ‘কথা কম, কাজ বেশি’। অনেক গাড়ির পেছনে লেখা থাকে ‘আল্লাহ সর্বশক্তিমান’ বা ‘৭৮৬’। যাত্রাপথে গাড়ি যাতে সুরক্ষিত থাকে সেই প্রার্থনাই ফুটে ওঠে এতে। দারিদ্র বা সংগ্রামের কথা কখনো মূর্ত হয়ে ওঠে লেখার মধ্যে দিয়ে। যেমন- ‘জন্ম থেকেই চলছি’ বা ‘জন্ম থেকেই জ্বলছি’ প্রভৃতি।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.