বিয়েতে বর-কনেকে সাত পাকে ঘোরানো হয় কেন ? তার বেশি ঘোরানো হয় না কেন?
Odd বাংলা ডেস্ক: প্রত্যেকটা মানুষই তার বিয়ে নিয়ে স্বপ্ন দেখে। বিয়ে মানে দুটি মনের মেলবন্ধন, দুই পরিবারের মধ্যে নতুন করে সম্পর্ক গড়ে ওঠা। হিন্দুদের বিয়ে মানে অনেক রীতি মেনেই পালন করা হয়। আইবুড়ো ভাত থেকে শুরু করে ফুলশয্যা, এর মাঝে রয়েছে বহু নিয়ম রীতি পালন। প্রজাপতি ঋষির কৃপা আর বাড়ির সব গুরুজনদের আশীর্বাদ নিয়ে এই বিয়ে সম্পন্ন হয়।
১. প্রথম পাকে পাত্র ও পাত্রী দুজনেই তাদের প্রতিজ্ঞা রাখে যে পাত্র তার সন্তান ও স্ত্রীর সমস্ত দায়িত্ব নেবে। আর পাত্রী দায়িত্ব নেবে তার পরিবারকে ভালো রাখার। এছাড়া সংসারের সব দায়িত্ব থাকবে পাত্রীর।
২. দ্বিতীয় পাকে পাত্র প্রতিজ্ঞা করে একসঙ্গে তারা বাড়ি ও পরিবারের লোকজনদের রক্ষা করবে। পাত্রী প্রতিজ্ঞা করে আমি সবসময় তোমার পাশে থাকবো। তোমার সুখ দুঃখে তোমার সাথে থাকবো আর তার পরিবর্তে তুমি আমায় সারাজীবন আন্তরিকভাবে ভালোবাসবে।
৩. তৃতীয় পাকে পাত্রের প্রতিজ্ঞা আমাদের সন্তানরা দীর্ঘজীবী হোক। আমরা জেনো সমৃদ্ধশালী হয়ে উঠতে পারি। পাত্রী বলে যে আমার কাছে তুমিই সব। তোমাকেই সারাজীবন ভালোবাসবো।
৪. চতুর্থ পাকে একে অপরকে সারাজীবন আনন্দে ভরিয়ে রাখার কথা বলে। সারাজীবন একে অপরকে সব দিক থেকে পরিপূর্ণতা দেওয়া ও একে ওপরের পাশে থাকার প্রতিজ্ঞা করে।
৫. পঞ্চম পাকে দুজনে দুজনকে অপার ভালোবাসা দেওয়ার প্রতিজ্ঞা নেয়। যাতে তারা সারাজীবন দুজনের সন্মান বজায় রাখতে পারে।
৬. ষষ্ঠ পাকে তারা দুজনে দুজনের পাশে থেকে ভালোবাসা ভাগ করে নেওয়ার অঙ্গিকার জানায়। তারা দুজনকে ছেড়ে কখনো যাবে না। একসাথে সারা জীবন সুখে দুঃখে কাটিয়ে দেবে।
৭. সপ্তম পাকে তাদের প্রতিজ্ঞা এবার থেকে আমরা স্বামী-স্ত্রী। এখন থেকে আমরা একই সুত্রে বাধা। আমাদের একে অপরের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমরা একে অপরকে সম্মান করবো। দুজনেই সম্পর্কের সূচনা করে ভগবানের আশীর্বাদ নেয়। যে সম্পর্ক সতটা, দায়িত্ব ও বিশ্বাস দিয়ে পরিপূর্ণ রাখবো।
Post a Comment