সুস্থ হয়ে ফের করোনায় আক্রান্ত তরুণী, অ্যান্টিবডি মিলল না শরীরে!
Odd বাংলা ডেস্ক: রবিবার ভারতে দৈনিক সংক্রমণের সব রেকর্ড ভেঙে গেছে। এদিন ৯০ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এসবের মধ্যেই আরো আতঙ্ক বাড়াল দেশটির বেঙ্গালুরুর এক ঘটনা। শহরটিতে করোনা থেকে সেরে ওঠা এক তরুণী ফের আক্রান্ত হলেন করোনায়। দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানা গেছে।
বেঙ্গালুরুর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এমন ঘটনা এই প্রথম। ২৭ বছরের ওই তরুণী জুলাই মাসে করোনায় আক্রান্ত হন। তাঁর জ্বর, কাশি ও গলা ব্যথা ছিল। হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসার পর সুস্থও হন তিনি।
পরপর রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় ২৪ জুলাই বাড়ি ফিরে যান তিনি। কিন্তু মাসখানের মাথায় ফের জ্বর ও অন্যান্য উপসর্গ দেখা দেয় তাঁর শরীরে। কভিড পরীক্ষা করা হলে দেখা যায়, আবারও পজিটিভ তিনি! যদিও এবার বা আগেরবার খুব তীব্র উপসর্গে ভোগেননি তরুণী।
চিকিৎসকরা বলছেন, কোনো রোগী কভিডে আক্রান্ত হলে সাধারণত তার কয়েক সপ্তাহের মধ্যে 'কভিড ইমিউনোগ্লোবিউলিন অ্যান্টিবডি' তৈরি হয় শরীরে। এর ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে।
কিন্তু ওই তরুণীর শরীরে সেই অ্যান্টিবডি মেলেনি। এখন অ্যান্টিবডিটি তৈরিই হয়নি, নাকি তৈরি হয়ে এক মাসের মধ্যে ফের উধাও হয়ে গেছে, তা স্পষ্ট নয়। এ ঘটনা সামনে আসার ফলে প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি দ্বিতীয় দফায় করোনা সংক্রমণ শুরু হয়ে গেল ভারতে?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু-এর কথা অনুযায়ী করোনার সেকেন্ড ওয়েভ শুরু হতে চলেছে এভাবেই? সে বিষয়টি নিশ্চিত না করলেও, চিকিৎসকরা সাবধান করছেন, সম্পূর্ণ সুস্থ কোনো মানুষ করোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচতে যতটা সাবধানতা অবলম্বন করেন, ঠিক ততটাই বা তার থেকেও বেশি সাবধান হতে হবে করোনা থেকে সুস্থ হওয়া রোগীকেও।
কারণ সাম্প্রতিক নানা ঘটনা থেকে স্পষ্ট, করোনা রোগীর ওপর এই ভাইরাস নানাভাবে প্রভাব ফেলতে পারে। ফুসফুসের ক্ষতি তো বটেই, সেই সঙ্গে মস্তিষ্ক, লিভার, হার্টে নানা রোগ তৈরি করতে পারে করোনাভাইরাস। সেই সঙ্গে মনের ওপর চাপ তো পড়েই। তাই সুস্থ হওয়ার পরও চিকিত্সকের নির্দেশ মেনে, যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করে থাকতে হবে।
অনেকেই হাসপাতাল থেকে ফিরেও দুর্বল থাকছেন, ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। খিদে কমে যাচ্ছে। এ কারণে চিকিৎসকরা বলছেন, প্রয়োজনে হাসপাতাল-পরবর্তী সময়ে হোম আইসোলেশনে থাকতে হবে। মেনে চলতে হবে করোনাবিধি।
শরীরের অক্সিজেনের মাত্রা সঠিক পরিমাণে থাকছে কি না, তা-ও দেখতে হবে বারবার। তাপমাত্রা ও হার্ট রেটও মনিটর করতে হবে।
বেঙ্গালুরু হাসপাতালে সংক্রামক রোগের পরামর্শদাতা ডা. প্রতীক পাতিল জানিয়েছেন, ২৪ জুলাই রোগীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। প্রায় এক মাস পর, আগস্টের শেষ সপ্তাহে তার মধ্যে ফের করোনার লক্ষণ দেখা যায়। পরীক্ষা করার পর তার পজিটিভ আসে। এটি সম্ভবত বেঙ্গালুরুতে করোনায় দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হওয়ার প্রথম ঘটনা। তিনি আরো বলেন, তাঁর শরীরে করোনার কোনো অ্যান্টিবডি পাওয়া যায়নি। অ্যান্টিবডি পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছিল।
Post a Comment