সৌন্দর্যে মুগ্ধ করা বিরল প্রজাতির এক বাদুড়, পৃথিবীতে রয়েছে মাত্র কয়েক জোড়া


Odd বাংলা ডেস্ক: নিশাচর প্রাণীদের মধ্যে প্রথম সারিতেই রয়েছে বাদুড়। বাদুড় স্তন্যপায়ী প্রাণী হলেও পাখার সাহায্যে আকাশে উড়ে বেড়াতে সক্ষম। তবে বাদুড় কিন্তু কোনো পাখি নয়। এটি পৃথিবীর একমাত্র উড্ডয়ন ক্ষমতা বিশিষ্ট স্তন্যপায়ী প্রাণী। পৃথিবীতে প্রায় ১১০০ প্রজাতির বাদুড় রয়েছে। এরমধ্যে ছয়টি প্রজাতি আছে যেগুলো সাদা রঙের হয়। এর সৌন্দর্যে মুন্ধ হবেন মুহূর্তেই। তবে এই বিরল প্রজাতির বাদুড় উড়ে বেড়ায় দিনের বেলাতেই। বিরল এই বাদুড়টি প্রথম দেখা যায় যুক্তরাজ্যে। 

সাধারণত গুহায় বাস করে এরা। ফিলিপাইন ও মেক্সিকোতে এদের বিচরন বেশি। এছাড়াও বেশি কিছু অঞ্চলে মাঝে মাঝে দেখা যায় এই বাদুড়। তবে বর্তমানে ডানজুগান দ্বীপের নেগ্রোস অ্যাসোসডেন্টালে এই বাদুড়ের দেখা পাওয়া যায়। এই দ্বীপটি বন্যপ্রাণীদের একটি গুরুত্বপূর্ণ অভয়ারণ্য। আলবিনো হন্ডুরাস বাদুড়ের উচ্চতা এতোটাই কম যে আপনার হাতের তালুতেই নিতে পারবেন। এর উচ্চতা মাত্র এক দশমিক পাঁচ ইঞ্চি। পুরো শরীর ধবধবে সাদা আর চোখগুলো গোলাপি। আবার অনেকটার চোখ কালো বর্ণেরও হয়। হন্ডুরাস বাদুড়ের কান,নাক এবং ঠোঁট হয় উজ্জ্বল হলুদ বর্ণের। এই প্রজাতির বাদুড় খুব একটা আক্রমণাত্মক হয় না। 


স্তন্যপায়ী এই আলবিনো বাদুড়ের খাবার মূলত ফলমূল। বিশেষ করে ডুমুর প্রজাতির ফল খায় বেশি। এই বাদুড়গুলোর গায়ের রং সাদা হওয়ায় একে আলবিনো বলা হয়। ১৮৯২ সালে আমেরিকান প্রাণিবিজ্ঞানী হ্যারিসন অ্যালেন প্রথম এই প্রজাতি আবিষ্কার করেন। এরা কৌশলগতভাবে দাঁত দিয়ে পাতা কেটে তার ভেতর বাসা বানায়। স্ত্রী বাদুড় বছরে দুইবার গর্ভধারণ করে এবং একবারে একটি, মাঝে মাঝে তিন চারটি সন্তানেরও জন্ম দেয়। এখন অনেক কার্টুন সিরিজেও দেখা মেলে আলবিনো বাদুড়ের। আলবিনো বাদুড়ের পাশাপাশি কিন্তু অনেক প্রাণী আছে এই ধরণের। এরমধ্যে সাপ, কচ্ছপ, চিংড়ি, কাঁকড়াসহ অনেক কিছুই। এমনকি আলবিনো কুমিরও দেখা যায় বিশ্বের কয়েকটি অঞ্চলে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.