যেসব দেশে বোরকা পরায় আছে নিষেধাজ্ঞা!

Odd বাংলা ডেস্ক: একেক দেশের একেক নিয়ম-কানুন মানা হয়। তেমনি ভাবে বোরকা পরাতেও নিষেধাজ্ঞা আছে কিছু কিছু দেশে। ২০০৫ সালে উত্থাপিত প্রস্তাব ব্যাপক তর্ক-বিতর্ক ও আলোচনার পর ২০১৫ সালে পাস হয়। ২০১৮ সালের জুনে দেশটির সিনেট এ আইনের অনুমোদন দেয়।

এই আইন অনুযায়ী, বোরকা পরিহিত কেউ এসব স্থানে প্রবেশ করতে চাইলে কর্তৃপক্ষ তাদেরকে মুখ দেখাতে বলতে পারবেন। যদি কেউ মুখ দেখাতে না চায় তবে তাকে এই স্থানে প্রবেশে অস্বীকৃতি জানাতে পারবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এছাড়া নির্দেশ অমান্য করলে ১৫০ ইউরো (প্রায় ১৫ হাজার টাকা) জরিমানাও করা হতে পারে। আসুন জেনে নেয়া যাক সেই দেশগুলো সম্পর্কে-


ফ্রান্স

ফ্রান্স ইউরোপের প্রথম দেশ, যেখানে বোরকা আইন করে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফ্রান্সে ৫০ লাখ মুসলমানের বাস। ২০১১ সালের ১১ এপ্রিল এই আইন কার্যকর হয়। বোরকা বা নেকাব পরলে জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে আইনে।


বেলজিয়াম

২০১১ সালের জুলাইয়ে বেলজিয়ামেও নেকাব নিষিদ্ধ হয়। অর্থাৎ কোনো নারী তার পুরো মুখ কাপড়ে ঢেকে রাখতে পারবে না।


স্পেন

পুরো স্পেনে নয়, বার্সেলোনা শহর কর্তৃপক্ষ সেখানে বোরকা নিষিদ্ধ করেছে।


সুইজারল্যান্ড

সুইজারল্যান্ডে কিছু অঞ্চলেও জনসমক্ষে নিকাব পরা নিষিদ্ধ।


ব্রিটেন

ব্রিটেনে প্রচুর মুসলিমের বাস। তাই সেখানে কোনো ইসলামী পোশাকের ওপর নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে স্কুলগুলোতে নির্দিষ্ট পোশাক পরতে হয়। ২০০৭ সালে বেশ কয়েকটি মামলার পর স্কুল কর্তৃপক্ষ ঠিক করে, স্কুলে কেউ বোরকা বা নেকাব পরতে পারবে না।

সুইজারল্যান্ড

২০১৩ সালে সুইজারল্যান্ডের ইতালিয় ভাষাভাষীদের এলাকা টিসিনোতে বোরকা নিষিদ্ধের ওপর ভোট হয়। নিষিদ্ধ করার পক্ষে পড়ে ৬৫ শতাংশ ভোট। এরপর ২৬টি শহরে বোরকা নিষিদ্ধ হয়। চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে লুগানো, লোকারনো, মাগাদিনোসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় বোরকা নিষিদ্ধ হয়। কেউ জনসমক্ষে বোরকা পরলে ৯ হাজার ২০০ ইউরো পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে তার।


ইতালি

ইতালির বেশ কয়েকটি শহরে নেকাব নিষিদ্ধ। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর নোভারা কর্তৃপক্ষ সেখানে আইন করে বোরকা নিষিদ্ধ করেছে। ৭০-এর দশকেই মুখ ঢেকে রাখা সব ধরনের ইসলামিক পোশাকের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ইতালি।


অস্ট্রিয়া

দেশটির ক্ষমতাশীল জোট সরকার প্রকাশ্য স্থানে পুরো মুখ ঢাকা নেকাব নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে একমত হয়েছে। স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালতে নেকাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে একমত হয়েছে সরকারের শরিক দলগুলোও। এছাড়া যারা সরকারি চাকরি করেন, তাদের মাথায় স্কার্ফ, হিজাব কিংবা অন্যান্য ধর্মীয় প্রতীক পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথাও বিবেচনা করছে সরকার।


জার্মানি

জার্মানির রক্ষণশীল রাজনীতিকদের মধ্যে বোরকা নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে। সিডিইউ দলের একাধিক রাজনীতিক স্কুল, সরকারি অফিস, আদালতকক্ষ, গাড়ি চালানোর সময় বোরকা ও গোটা মুখ ঢাকা বা নেকাব পরা নিষিদ্ধ করতে চান।


সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, প্রায় তিন-চতুর্থাংশ জার্মানও প্রকাশ্যে বোরকাধারী মহিলাদের দেখতে নারাজ। এমনকি সম্প্রতি চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলও নেকাব নিষিদ্ধ করার পক্ষে সায় দিয়েছেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.