হ্যান্ডসাম নয়, ভুঁড়িওয়ালা ছেলেরাই হয় বউ এর প্রতি বেশি কেয়ারিং
Odd বাংলা ডেস্ক: আমাদের জীবনে চলার পথে এমন অনেকের সাথে পরিচয় হয় যাকে আমরা অনেক সময় পছন্দ করিনা। কারণ আমরা সাধারণত ‘প্রথমে দর্শনধারী তারপর গুনবিচারি’ এই পন্থায় বিশ্বাসী। আমরা প্রথমে একটা মানুষকে তার রূপ দেখেই বিচার করি। কিন্তু সেটা আমাদের খুব বড় ভুল। কোন মানুষকে তার রূপ দেখে বিচার করা একদমই উচিত নয়।
বিশেষ করে আমরা ভুঁড়িওয়ালা মোটা মানুষদের একদমই পছন্দ করিনা।
তাদের নিয়ে আমারা ঠাট্টা তামাশা করে থাকি। কিন্তু গবেষণা বলছে অন্য কথা। গবেষণায় মেয়েদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে যে নিজেদের দীর্ঘায়ূ চাইলে অবশ্যই নিজের জীবনসঙ্গী হিসাবে বেছে নিন কোন ভুঁড়িওয়ালা মোটা মানুষকে।
তার সঙ্গে সময় কাটান, গল্প করুন। অবশ্যই ইতিবাচক আলোচনা করুন। এটিই হল আপনার সুস্থ থাকার মক্ষম ওষুধ। ধরুন আপনি সারাদিন কাজ করে বা পড়াশুনা করে খুব ক্লান্ত, আপনি ভীষণ বিষণ্ণ হয়ে পড়েছেন, আপনার কিছু ভালো লাগছেনা।
সেই সময়ে আপনার সঙ্গী যদি হয় একজন ভুঁড়িওয়ালা মোটা মানুষ তাহলে আপনার সমস্ত বিষণ্ণতা কেটে যেতে বাধ্য। তার জন্য আপনাকে আপনার সঙ্গীর সঙ্গে ইতিবাচক গল্প করতে হবে। বেশিরভাগ মোটা মানুষেরা মনের দিক থেকে ভীষণ ভালো হয়। ক্লান্ত হলেও, বিছানায় যেতে ইচ্ছা হলেও সময় বের করে নিয়ে সময় কাটান তার সঙ্গে।
তাদের সঙ্গে কথা বললে আপনার মানসিক বিষণ্ণতা দূর হবে। আপনি মানসিক ভাবে সুস্থ থাকতে পারবেন।
গবেষণা বলছে ভুঁড়িওয়ালা ছেলেদের সঙ্গে ইতিবাচক কথাবার্তায় দেহ ও মনের সুস্থতা আসে। কারণ ভুঁড়িওয়ালা ছেলেরা দেখতে খারাপ লাগলেও তারা মনের দিক থেকে খুব সুন্দর হয়।
তাই তাদের হাসব্যান্ড হিসাবে বেছে নেওয়া খুবই বুদ্ধিমানের কাজ। তারা একদম পিওর হাসব্যান্ড মেটেরিয়াল হয়। এই ধরনের ছেলেরা আপনাকে সব সময় হাসি খুশিতে ভরিয়ে রাখে। খুব মজা করতে ভালোবাসে। তার সঙ্গে আপনি যতক্ষণ থাকবেন আপনাকে বোর হতে দেবেনা।
গবেষকরা ২৮১ দম্পতির উপর এই গবেষণা চালিয়েছে। তাদের তথ্য অনুযায়ী আবেগ, শারীরিক সম্পর্ক প্রভৃতি বিষয়গুলোর সঙ্গে অন্তরঙ্গভাবে জড়িত থাকে ইতিবাচক কথাবার্তা। ইতিবাচক কথাবার্তা ও ইতিবাচক চিন্তা ভাবনা স্বাস্থ্যের উপরেও গুরুত্বপূর্ন প্রভাব ফেলে।
গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছিল লাইভ সায়েন্স সাময়িকীতে। গবেষক জোসেফ অবশ্য দাবি করেছেন যে, পুরু ক্যারোটিড অ্যার্টেরিসের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্কের যোগসূত্র আছে। অবশ্য এর সঙ্গে কোন কার্য-কারণ সম্পর্ক নেই।
Post a Comment