হিংসাত্মক মনোভাবের কারণে পাকিস্তানিদের তাড়িয়ে দিচ্ছে গ্রিস


Odd বাংলা ডেস্ক: গ্রিসে অবৈধভাবে বসবাসরত প্রায় ৩০ জন পাকিস্তানিকে কর্মস্থলে হিংসাত্মক মনোভাব ও আগ্রাসী আচরণের জন্য গ্রেপ্তার করে প্রত্যান্ত ক্রিট দ্বীপে বন্দি করে রাখে দেশটির প্রশাসন। তবে শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানি দূতাবাসের হস্তক্ষেপে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

সম্প্রতি এক পাকিস্তানি তাঁর কর্মক্ষেত্রে এক গ্রিক নারীকে যৌন হয়রানি করে। যার জেরে দেশটির ক্রিট দ্বীপে যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। উত্তেজনা এতোটাই ছড়িয়েছিল যে, ক্রিট দ্বীপের টিমপাকি নামক একটি জায়গায় একটি মসজিদেও আক্রমন চালিয়েছিল বিক্ষুদ্ধ কিছু মানুষ। সূত্রে জানা যায়, পাকিস্তানি যুবক কর্তৃক গ্রিক এক তরুণীকে হয়রানির বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ার পর প্রায় ২০০-৩০০ তরুণ পাকিস্তানিদের ব্যবহৃত মসজিদটিতে হামলা চালায়। গ্রিস প্রশাসন জানিয়েছে, গ্রিসে প্রচুর পাকিস্তানি থাকেন, যাঁরা এই দেশে অবৈধভাবে বাস করছেন। 

তাঁদের বিকৃত মনোভাব এবং আচরণের জন্যে অন্তত ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে পাকিস্তানের দূতাবাসের হস্তক্ষেপে তাঁদেরকে আপাতত সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁদেরকে আর গ্রিসে থাকতে দেওয়া হবে না। গ্রিসে পাকিস্তানের সম্প্রদায়ের নেতা জাভেদ আসলাম আরিয়ান গ্রিসের এই মনোভাবকে বর্ণবাদী ও ফ্যাসিবাদী বলে আখ্যা দিয়েছেন। পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে প্রচুর পরিমাণে অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং অভিভাসন নিয়ে চিন্তিত গ্রিস প্রশাসন। 

'গ্রিক সিটি টাইমস' নামক এক সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, গ্রিসে এই রকম প্রায় ১০,০০০ মানুষ অবৈধভাবে বসবাস করছেন। গ্রিস সরকার দেশটিতে অবৈধভাবে বসবাস করা পাকিস্তানীদেরকে নিজ দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। গত জুলাই মাসে অবৈধ পাকিস্তানিদের নিয়ে প্রথম বিমানটি এথেন্স ছেড়ে যায়। ওই ফ্লাইটে ৩০ জন অবৈধ পাকিস্তানিকে নিজ জন্মবূমিতে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এটা কেবল প্রথম ঘটনা, একইভাবে অবৈধ সকল পাকিস্তানিকে দেশে ফেরত পাঠাবে গ্রিস।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.