১৭ বছর স্বামীর পাশেই প্রেমিককে লুকিয়ে রাখলেন মহিলা! তারপর কাড়লেন প্রাণ..
Odd বাংলা ডেস্ক: ডলি অস্ট্রেইস ১৮৮০ সালে জার্মানির একটি দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বয়স যখন ২০ বছর তখন তার খুব ধনী একজন টেক্সটাইল মালিকের সঙ্গে বিয়ে হয়। যার নাম ফ্রেড উইলিয়াম অস্ট্রেইস।
এত প্রাচুর্যের পরও ডলি তার দাম্পত্য জীবনে সুখী ছিলেন না। কারণ তার স্বামী ছিলেন মদ্যপ। তাই তিনি তার দাম্পত্য জীবনে কখনো সুখ পাননি। ১৯১৩ সালে ডলির জীবনের সব যেন পরিবর্তন হয়ে যায়।
শরতের এক সকালে ডলি তার স্বামীকে বলেন, সেলাই মেশিন ঠিক করার জন্য কারখানা থেকে একজন মিস্ত্রীকে বাড়িতে পাঠাতে। ঠিক যেমন বলা তেমন কাজ।
ফ্রেড তার অফিসের একজন ১৭ বছরের যুবককে এ কাজের জন্য তার বাড়িতে পাঠালেন। আর সেই কর্মচারীর নাম ছিল অটো সানহুবার। সে ঠিক সময় মতোই পৌঁছে যায় ফ্রেডের বাসায়। যখন বাসায় পৌঁছে যায় ৩৩ বছর বয়সী ডলি দরজাটি খোলেন।
দরজা খুলতেই সানহুবারকে ভালো লেগে যায় ডলির। নানা কৌশলে যুবক সানহুবারকে আকর্ষিত করার চেষ্টা করেন ডলি। অতঃপর তিনি সফলও হন। তারা ঠিক করেন ফ্রেডের বাড়িতেই তারা শারীরিক সম্পর্ক নিয়মিত চালাবেন।
ডলির স্বামী কখনোই চিলেকোঠায় যেত না। আর তাই বুদ্ধিমতী ডলি চিলেকোঠায় সন্তর্পনে লুকিয়ে রাখলেন প্রেমিককে। ফ্রেডের চিলেকোঠায় প্রায় পাঁচ বছর ধরে এভাবেই লুকিয়ে ছিলেন সানহুবার। তিনি ডলির সঙ্গে নিয়মিত শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন।
২২শে আগস্ট ১৯২২ সালে তাদের মধ্যে প্রচুর ঝগড়া হয়। তাদের দুজনের মধ্যে এতটাই তর্ক হচ্ছিল যে, ডলির প্রাণনাশের আশঙ্কায় তার প্রেমিক চিলেকোঠা থেকে ফ্রেডের অস্ত্র নিয়ে দুজনের মধ্যে এগিয়ে আসেন। তিনি সরাসরি ফ্রেডের বুকে তিন রাউন্ড গুলি ছোড়েন।
সানহুবারের মতে, ডলি শুধু তাকে ব্যবহারই করেছেন। বছরের পর বছর সানহুবারকে দিয়ে ডলি শুধু তার নিজের যৌন চাহিদা কি মিটিয়েছেন? তাকে যৌনদাস হিসেবে ব্যবহার করেছেন। তবে সানহুবার ডলিকে সত্যিই অনেক ভালবাসতেন। এদিকে ডলি অন্যজনের সঙ্গে ঘর করলেও সানহুবার কিন্তু জেল থেকে বেরিয়েও শান্তি পাননি।
Post a Comment