একের পর এক ছবি ফ্লপ! প্রতিদিন ঘরে ফিরে কান্নাকাটি করতেন আমির খান, ঘুরে দাঁড়ালেন কীভাবে


Odd বাংলা ডেস্ক: বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে মিস্টার পারফেকশনিস্ট নামে পরিচিত। তাঁর মতো প্রতিভাধর অভিনেতা সত্যিই আর দুটো মেলা ভার। ভারতবর্ষে তো বটেই, সারা পৃথিবীজুড়ে আমির খানের ভক্তের সংখ্যা নেহাত কম নয়। কিন্তু এই আমির খানের হাতেই একটা সময় কাজ থাকত না! বছরে একটি মাত্র ছবির অফার আসত তাঁর কাছে, কোনও সময় তাও আসত না। কেমন কাটত তাঁর সেইসব দিন?


সম্প্রতি বেনেট বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন আমির খান। সেই অনুষ্ঠানে এসে আমির সকলকে জানান যে, তিনি কীভাবে নিজের জীবনে পারফেকশনিস্ট হয়ে উঠলেন। এমনকি বছরে একটা ছবি করেও তিনি কীভাবে এই তকমা ধরে রেখেছেন। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে, ওই অনুষ্ঠানে কথোপকথনের সময় আমির সেখানে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের বলেন, 'কেয়ামত সে কেয়ামত তক ছবির পরে আমি ৮-৯টি ছবি সাইন করেছিলাম, গল্পের ওপর ভিত্তি করেই, কারণ সেইসময় বেশিরভাগ পরিচালকই নতুন ছিল এং তাঁদের তেমন পরিচিতিও ছিল না। ছবিগুলি একের পর এক ফ্লপ করে গেল এবং সেই সময় মিডিয়া আমাকে ওয়ান ফিল্ম ওয়ান্ডার-এর তকমা দিয়েছিল। আমার কেরিয়ার ডুবতে বসেছিল। মনে হত আমি যেন চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে আছি। সেই সময় আমি খুবই অসন্তুষ্ট ছিলাম। সেইসময় আমি বাড়ি ফিরে কাঁদতাম। সেই দিন আমি শপথ নিয়েছিলাম যে, যতদিন না পর্যন্ত কোনও ভাল পরিচালক, ভাল প্রযোজক এং ভাল চিত্রনাট্য পাচ্ছি, ততদিন নতুন কোনও ছবি সাইন করব না, তাতে যদি আমার কেরিয়ার শেষও হয়ে যায় যাক।'


এরপর আমির জানান যে, পরিচালক মহেশ ভাটও একবার একটি স্ক্রিপ্ট নিয়ে এসেছিলেন তাঁর কাছে। কেবল চিত্রনাট্য পছন্দ না হওয়ার কারণেই অমন নামজাদা পরিচালককেও না করে দিয়েছিলেন আমির। আমির বলেন, 'সেই সময় ভাট সাহেবের সঙ্গে যদি কাজ করতাম, তাহলে আমি আমার নিজের সঙ্গে সমঝোতা করতাম, আর এইভাবেই আমাকে আমার গোটা কেরিয়ারে একের পর এক সমঝোতা করে যেতেই হত! সেই সময় আমার দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল, আমি চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়েছিলাম। সেই সময় ভাট সাহেব আমার দিকে তাঁর হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন, আমাকে সেই পরিস্থিতি তুলে আনার জন্য। কিন্তু আমি আমার বিশ্বাসে অনড় ছিলাম।'
Blogger দ্বারা পরিচালিত.