দুর্গাপুজোর সময় অবশ্যই চণ্ডীপাঠ করুন, এর মহিমা অপার



Odd বাংলা ডেস্ক: দুর্গাপুজোর সঙ্গে চণ্ডীপাঠ ওতপ্রোতভাবে জড়িত রয়েছে।  শ্রীশ্রীদেবীমাহাত্ম্য সম্পর্কে'চণ্ডী'-তে দেবী নিজেই বলেছেন, পূজা-মহোৎসব উপলক্ষে তাঁর সমগ্র মাহাত্ম্য পাঠ করা ও শোনা অবশ্য কর্তব্য। দুর্গাপুজো যেহেতু মহাপূজা, তাই এই পুজোয় চণ্ডীপাঠ করা খুবই প্রয়োজন। কারণ চণ্ডীপাঠে দুর্গাপুজোর সকল ত্রুটি দূর হয়। সকল পূর্ণতা লাভ হয়।

'চণ্ডী'-র তত্ত্ব প্রকাশিকা টীকায় বলা হয়েছে, দেবী দুর্গার পুজো হতেও চণ্ডীপাঠ দেবীর অধিকতর প্রীতিজনক। 'দেবী গীতা'-য় বলা হয়েছে, ভগবতীর পুজোয় দেবীর সহস্রনাম, দেবীকবচ, দেবীসূক্ত, দেবী উপনিষদ পাঠে দেবীর পরিতুষ্টি হয়। 'পদ্মপুরাণ'-এও বলা হয়েছে, দুর্গাপুজোয় চণ্ডীপাঠ অবশ্যই করা উচিত। এই পুরাণে মহাদেব পার্বতীকে বলেছেন, দুর্গাপুজোয় সাধক একাগ্র চিত্তে সপ্তশতী চণ্ডীমন্ত্র জপ করবে। 

'রূদ্রচণ্ড'-র তূর্যখণ্ডে মহাদেব চণ্ডীকে বলছেন, ''হে দেবি ! যে ব্যক্তি ভক্তিপূর্বক একাগ্রচিত্তে মধুকৈটভ বধ, মহিষাসুর, চন্ডমুন্ড, শুম্ভ নিশুম্ভ বধরূপ তোমার মাহাত্ম্য নিত্য পাঠ করে বা শুনে থাকে, তাঁর কোনরূপ পাপ, দারিদ্র ও বিপদ উপস্থিত হয় না।'' দুর্গাপুজোয় 'শ্রীশ্রী চণ্ডী' পাঠে গ্রহাধিষ্ঠাত্রী দেবদেবীগণ প্রসন্ন হন এবং তারফলে গ্রহপীড়াও প্রশমিত হয়ে যায়।

তত্ত্ব প্রকাশিকা টীকায় বলা হয়েছে, এই দেবীমাহাত্ম্য ধর্ম, অর্থ, কাম ও মোক্ষ— চতুর্বিধ পুরুষার্থ লাভের সাধন স্বরূপ। ‘বারাহী তন্ত্র’ গ্রন্থে বলা হয়েছে— যজ্ঞের মধ্যে যেমন অশ্বমেধ, দেবতাদের মধ্যে হরি সর্বপ্রধান, সেরূপ সপ্তশতীস্তব অর্থাৎ দেবী মাহাত্ম্য সকল স্তবের মধ্যে শ্রেষ্ঠ।তাই মহামায়ার মহাপুজোয় দেবীমাহাত্ম্য পাঠ অবশ্যকর্তব্য। কারণ চণ্ডীর মহামায়াই হলেন দেবী দুর্গা।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.