এই গ্রামে বজরঙ্গবলী হনুমানের পুজো নিষিদ্ধ! গ্রামবাসীদের চোখে তিনি শয়তান..!
Odd বাংলা ডেস্ক: মনে পড়ে রামায়ণের সেই যুদ্ধের কথা। যেখানে ইন্দ্রজিতের বাণে জ্ঞান হারিয়েছিলেন লক্ষ্মণ। তখন লক্ষ্মণকে বাঁচানোর দায়িত্ব নেন স্বয়ং হনুমান। যে সে ওষুধ নয়, বিশেষ সঞ্জীবনীতেই বাঁচানো যাবে লক্ষ্মণকে। অতঃপর সেই সঞ্জীবনী, বিশল্যকরণী সন্ধানের উদ্দেশে রওনা দেন শ্রীহনুমান। জাম্ববান তাঁকে জানান, সেই বিশেষ ঔষধী পাওয়া যায় হিমালয়ের গন্ধমাদন পর্বতে।
গন্ধমাদনের খোঁজে বর্তমান উত্তরাখণ্ডের চামোলি গ্রামে পৌঁছন বজরঙ্গবলী। খুঁজতে থাকেন কোথায় সেই পাহাড়। তখন সেই গ্রামেরই এক মহিলা তাঁকে দেখিয়ে দিয়েছিলেন গন্ধমাদন পর্বত কোথায়। জানিয়ে দিয়েছিলেন, ওখানেই মিলবে লক্ষ্মণকে বাঁচানোর ওষুধ। কিন্তু পর্বতে উঠে কিছুতেই নির্দিষ্ট সেই সঞ্জীবনী খুঁজে বের করতে পারেননি হনুমান। তাই ঠিক করেন যে পুরো পর্বতটাই কাঁধে করে নিয়ে যাবেন। যেমন ভাবা, তেমন কাজ।
কিন্তু হনুমানের এই কাণ্ডে ক্ষিপ্ত হন গ্রামের মানুষ। শ্রীহনুমান এই পর্বতটিকে উপড়ে নিয়ে যাওয়ার ফলে গ্রামের মানুষের জীবন যাপন বিঘ্নিত হয়। এছাড়াও গন্ধমাদন পর্বতকে ভগবান মানতেন বাসিন্দারা। তাই ঘোষণা করে দেওয়া হয়, বজরঙ্গবলীর যেন পুজো না হয় এই গ্রামে। আজও সেই রীতি বজায় রয়েছে। উত্তরাখণ্ডের এই গ্রামে হনুমানজির পুজোই শুধু বন্ধ নয়। তাঁর নাম করাও নিষিদ্ধ। যে মহিলা তাঁকে গন্ধমাদন পর্বত দেখিয়ে দিয়েছিলেন, সেই মহিলাকেও গ্রাম থেকে নির্বাসিত করা হয় হয়। এই কাহিনি স্থানীয় গণস্মৃতিতে আজও বহমান।
Post a Comment