জন্ম থেকেই নেই হাত, হাসপাতালে কাজ করেই সংসার চলে তার


Odd বাংলা ডেস্ক: মানুষ কঠোর পরিশ্রম, অধ্যাবসায় আর মনোবল দিয়েই পৃথিবী জয় করেছে। এর অনেক প্রমাণ রয়েছে আমাদের সমাজে। এমনকি জন্মগতভাবে কিংবা দুর্ঘটনাজনিতভাবে অনেকেই শরীরের একটি অঙ্গ হারিয়ে জয় করেছেন পৃথিবী। স্বাভাবিক মানুষের চেয়েও তারা ভালোভাবে জীবনযাপন করেন। এমন অনেকের কথাই তো জেনেছেন। আজ এমন একজন অদম্য মনোবলের মানুষের কথা জানাবো যিনি মনের জোড়েই নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করে বিশ্ব জয় করেছেন। নাম তার প্রিন্স গোগোই। 

 আসামের ছোট শহর সোনারির বাসিন্দা তিনি। জন্ম থেকেই বিকলাঙ্গ সে, তার দুই হাত নেই। তারপরও দমে যাননি। জীবনের এই সীমাবদ্ধতা নিয়ে দুঃখ পেলেও তিনি কখনোই নিজেকে কোণঠাসা করে রাখেন নি। বরং এই মহামারি চলাকালীনও তিনি হাসপাতালে কাজ করে তার পরিবারের ভরণপোষণ জুগিয়েছেন। তিনি এখন গুয়াহাটিতে থাকেন এবং এখানকারই একটি বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি করেন। নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে প্রিন্স তার নিজের পা কে কাজে লাগিয়েছেন। 

 হাসপাতালে ফোন তোলা থেকে শুরু করে রোগীদের নাম লেখা, সব কিছুই নিজের পায়ের সাহায্যে করেন এই নারী। প্রিন্সের এই উদ্যোগ দেখে সকলেই তার প্রশংসা করে। চাকরি করা ছাড়াও প্রিন্স গান ও পেইন্টিং করেন। সময় পেলেই পছন্দের কাজ দুটিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন প্রিন্স। তিনি তার পা দিয়ে তুলির টানে ছবি আঁকেন। কয়েকদিন আগে তিনি গণেশের একটি মূর্তিও তৈরি করেন। এই প্রতিমাটি বিক্রি হয় ৩০ হাজার টাকায়। 

 প্রিন্সর একটি স্বপ্ন রয়েছে, বিভিন্ন প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য একটি আর্ট স্কুল খোলার। এই পেইন্টিংগুলো বিক্রি করে তিনি যে পরিমাণ অর্থ আয় করবেন তা তাদের জন্য বিনিয়োগ করবেন। তিনি মনে করেন যে এই বিদ্যালয়ের বাচ্চাদের শিল্পের দক্ষতা শিখতে হবে। তারা যেন নিজেদের কখনো অক্ষম বলে মনে না করে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.