কচুর লতি খান? না খেলে মারাত্মক ভুল করছেন!

Odd বাংলা ডেস্ক: চিংড়ি দিয়ে রান্না কচুর লতির তরকারির স্বাদের তুলনা হয় না। অনেকে চিংড়ির সঙ্গে নারকেলও দেন। খেতে মালাইকারির চেয়ে কোনও অংশে খারাপ নয়। এছাড়া ছুরি, ফাঁইস্যা, লইট্টা বা চিংড়ি শুঁটকি দিয়ে রান্না কচুর লতিও অতুলনীয়। এত স্বাদের এই সবজিটির গুণাগুণ সম্পর্কে অনেকেই জানেন না।

এছাড়া অভিজাত সবজির ভিড়ে কচুর লতিরও যেন স্থান নেই। অথচ পুষ্টিগুণে অনন্য এই সবজি।

যে কারণে খাবেন-

গরমে শরীর থেকে জল বেরিয়ে যায়। কচুর লতিতে প্রচুর জল থাকে। সে কারণে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কচুর লতি রাখা যেতে পারে।

কচুর লতির আঁশ দেহ থেকে বর্জ্য বের করে দেয়, খাবার হজমে সাহায্য করে।

যারা দ্রুত ওজন কমাতে চান তারা কচুর লতি খেতে পারেন।

মুখি বা কচুর চেয়ে লতিতে শর্করার পরিমাণ কম। ফলে যারা শর্করা পরিহার করে চলেন তারা কচুর লতি খেতে পারেন।

কচুর লতির ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠন শক্ত করে।

এতে থাকা আয়োডিন ও ভিটামিন-বি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। ভালো রাখে ত্বক আর চুল।

কচুর লতিতে থাকা ভিটামিন-সি মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

কচুর লতিতে আছে প্রচুর লোহা। যারা রক্তশূন্যতায় ভুগছেন কচুর লতি তাদের জন্য ভালো পথ্য হতে পারে।

এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ফোলেট, থায়োমিনও রয়েছে।

কচুর লতি রক্তের কোলেস্টরলের মাত্রা কমায়। 

কোলন ক্যান্সার ও ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে। তবে, শিশুদের বেশি করে তেল দিয়ে খাওয়ানো ভালো। এতে রাতকানা রোগের আশঙ্কা কমে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.