'জ্যান্ত দুর্গা'র পুজো করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ! তাও আবার বেলুড় মঠেই
সালটা ১৯০১। সেবচছর থেকেই শুরু হয় বেলুড়মঠে দুর্গাপুজো। কীভাবে শুরু হয়? দুর্গাপুজোর পরিকল্পনাই বা কার? জানা যায়, একদিন নিজের ঘরের সামনের বেলগাছের তলায় বসেছিলেন স্বামীজি। নানা কথা ভাবতে ভাবতে, হঠাৎই মনে পড়ে দুর্গাপূজার কথা। তিনি ঠিক করলেন, বেলুড় মঠেও দুর্গাপূজা করা হবে। যেমন ভাবা, তেমনই কাজ। শুরু হয় পুজো। কুমারটুলি থেকে প্রতিমা নিয়ে এসেছিলেন কৃষ্ণলাল মহারাজ। প্রাচীন বৈদিক মতে পুজো করা হবে বলে ঠিক হল। স্বামীজির সঙ্গে তাঁর শিষ্যরাও যুক্ত হন পুজোর কাজে। কিন্তু সংকল্প কার নামে করা হবে? সন্ন্যাসীরা তো পুজোর সংকল্প নিতে পারবেন না! স্বামীজিই উপায় বাতলে দিলেন। তখনও জীবিত ছিলেন সারদামণি দেবী। মা সারদার নামে তখন পুজোর সংকল্প করা হয়। এমনকি, তাঁকে আলাদা করে জ্যান্ত দুর্গা রূপে পুজোও করেন স্বামী বিবেকানন্দ।
মঠে একদম প্রথম পুজো থেকেই শুরু হয়েছিল কুমারী পুজোর প্রথা। প্রিয় রামলালদাদার মেয়েকেই প্রথম কুমারী রূপে বাছেন স্বামীজি। সেই থেকে শুরু হল বেলুড় মঠের কুমারী পূজা। আজও তা সমান নিষ্ঠায়, সমান আয়োজনে চলছে। দূর দূরান্ত থেকে ভক্তরা আসেন এখানে। শুধু অষ্টমীতে নয়, পুজোর প্রতিটা দিন শুদ্ধতায়, পবিত্রতায় ভরে থাকে বেলুড়।
Post a Comment