সপ্তাহের কোন দিন মাছ খাবেন? কেন খাবেন? অবশ্যই জানুন..

Odd বাংলা ডেস্ক : মাছ তো খান। কিন্তু মাছের উপকারিতা জানেন কি? বা সারা সপ্তাহে কটা দিন মাছ খাওয়া দরকার তা নিয়ে কি কোনো ধারণা আছে? না জানলে অবশ্যই জানুন। 

নিউট্রিশনিস্টদের মতে, মস্তিষ্ক ছাড়াও হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে এবং এই দুই প্রধান অঙ্গের রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে অত্যন্ত উপযোগী মাছে। হার্টের অসুখ ও মস্তিষ্কের রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয় মাছের ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। সপ্তাহে কমপক্ষে তিন দিন ৭০ থেকে ৭৫ গ্রাম করে মাছ খেতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন পুষ্টিবিদরা। 

পুষ্টিবিজ্ঞানীরা 'প্রো ব্রেন' ফুড তালিকার একেবারে প্রথম সারিতে রেখেছেন মাছকে। ছোট বয়সে স্মৃতিশক্তি ও একাগ্রতা বাড়াতে এবং বেশি বয়সে 'ডিমেনশিয়া' বা স্মৃতিহীনতার হাত থেকে রেহাই পেতে প্রতিদিনের খাবারে থাকা দরকার এক টুকরা মাছ। ক্রনিক কিডনির অসুখ, অ্যালার্জিজনিত সমস্যা না থাকলে খাবার তালিকায় মাছ রাখা উচিত প্রত্যেকেরই।

শিশু থেকে বয়স্ক সবাই নিশ্চিন্তে মাছ খেতে পারেন। মাছে যথেষ্ট প্রোটিনের সঙ্গে থাকে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, সেলেনিয়াম ও আয়োডিন। মাছ হল খনিজ পদার্থ আর ভিটামিনের খনি। অনেকের ছোট মাছ খাওয়ার ঝোঁক আছে। ছোট মাছ বা শিং-মাগুর মাছ বেশি পুষ্টিকর এই ধারণার কোনও ভিত্তি নেই।

নিয়মিত মাছ খেলে হার্ট অ্যাটাক ও ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকি কিছুটা কমে। আমেরিকায় প্রায় ৪০ হাজার মানুষের উপর এক স্টাডি করা হয়েছে। যারা সপ্তাহে মাত্র একদিন মাছ খান তাদের হার্টের অসুখের হার অন্যদের থেকে ১৫% কম।

তৈলাক্ত মাছে থাকে ডিএইচএ অর্থাৎ ডোকোসাহেক্সানোয়িক অ্যাসিড যা এক ধরনের ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। এটি মস্তিষ্কের সেরিব্রাল কর্টেক্স (মস্তিষ্কের কোষের ভিত্তি) তৈরিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয়। আমেরিকার মেরিল্যান্ডের ন্যাশনাল আই ইনস্টিটিউটের গবেষকরা এক সমীক্ষায় জানিয়েছেন যেসব ৬০ বছর পেরনো মানুষ সপ্তাহে দুই দিন বা তার বেশি দিন মাছ খান তাদের দৃষ্টিশক্তি ভাল থাকে।


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.