মন্দিরে ঘণ্টা ঝোলানো থাকে কেন? জানলে চমকে যাবেন..

Odd বাংলা ডেস্ক: ভক্তরা মন্দিরে প্রবেশের সময়ে ঘণ্টা বাজান। কিন্তু  ঠিক কেন মন্দিরে ঘণ্টা রাখা আবশ্যিক?

• আরতির কালে ঘণ্টা বাজানো হয়। মনে করা হয়, ঘণ্টাধ্বনি অশুভ শক্তিকে পরাহত করে। এর বাইরে আরও একটি বিষয় রয়েছে। মনে করা হয়, ঘণ্টাধ্বনি এই সময়ে ভক্তের চিত্তকে একাগ্র করে। 

• দেবতা জাগ্রত, ঘণ্টাধ্বনি করে তাঁকে নিশ্চয়ই জাগানো হয় না! বরং ঘণ্টাধ্বনি করে ভক্ত তাঁর নিজের অস্তিত্বকেই জানান। কিন্তু দেবতা তো অন্তর্যামী। আসলে এখানে ঘণ্টা ভক্তের আত্মাকেই তৃপ্ত করে।

• ভক্তের উচ্চারিত ওঁ ধ্বনির সঙ্গে রণন তোলে ঘণ্টাধ্বনি। এতে সৃষ্ট হয় বিশেষ এক ভাব, যা একান্ত ভাবেই আধ্যাত্মশক্তির জাগরণ ঘটায়।

• আরতির কালে ঘণ্টাধ্বনি করে দূরবর্তী ভক্তকেও সচেতন করা হয়। 

• ‘স্কন্দ পুরাণ’ জানায়, মন্দিরে ঘণ্টাধ্বনি মানুযের শতজন্মের পাপকে স্খালন করে। 

• অনেক শাস্ত্র বলে, ঘণ্টা কালের প্রতীক। যুগান্তের সময়ে নাকি শত সহস্র ঘণ্টা ধ্বনিত হবে।

• তামা, রূপা, সোনা, দস্তা ও লোহা— এই পঞ্চ ধাতুতে তৈরি ঘণ্টা পঞ্চভূতের প্রতীক।  

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.