নরেন্দ্র মোদীর 'নমামি গঙ্গে' প্রকল্পের ৫ বছর পর মিলল সাফল্য, গঙ্গায় বেড়েছে ডলফিনের সংখ্যা


ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়, Odd বাংলা:
নরেন্দ্র মোদী সরকার ২০১৫ সালে গঙ্গাকে নির্মল ও বায়বীয় করে তোলার লক্ষ্যে 'নমামি গঙ্গে' প্রকল্পটির সূচনা করেন। প্রকল্পের পাঁচ বছর পর এর থেকে কিছু ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া গিয়েছে। প্রকল্পের ওয়েবসাইটে স্পষ্ট বলা হয়েছিল যে, এই প্রকল্পের মূল স্তম্ভ হল জীববৈচিত্র। মৎস প্রজাতির দিক থেকে গঙ্গার অববাহিকাটি ভারতের সবচেয়ে সমৃদ্ধ অববাহিকা - ১৯৯১ সালে জুলজিকাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া দ্বারা পরিচালিত এক গবেষণায় এই সংখ্যাটি ছিল ৩৭৫।

বছরের পর বছর ধরে, ভারতের এই পবিত্র নদীটিতে ক্রমবর্ধমান দূষণের জেরে জলজ প্রাণীর বেঁচে থাকাকে প্রশ্নে মুখে এনে দাঁড় করিয়েছে। ১৯৯৬ সালে, 'গঙ্গার বাঘ' নামে পরিচিত আইকনিক গ্যাঞ্জেটিক ডলফিন (প্লাট্যানিস্টা গ্যাঙ্গেটিকা ​​গ্যাঙ্গেটিকা)-কে আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অবং নেচারের পক্ষ থেকে চিহ্নিত করে তাদের বিপন্ন প্রজাতি হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছিল। ১৯ শতকের গোড়ার দিকে গঙ্গায় ডলফিনের সংখ্যা ছিল প্রায় ১০ হাজার। যা ২০০০ সালের গোড়ার দিকে নেমে এসেছিল ৩ হাজার ৫২৬-এ। এবং ভারতের জাতীয় জলজ প্রাণীটি পুরোপুরিভাবে হরিদ্বার এবং যমুনা থেকে অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল বলা চলে। 

'নমামি গঙ্গে' প্রকল্পটি শুরুর পাঁচ বছর পরে, ওয়াইল্ডলাইফ ইন্সটিটিউট অব ইন্ডিয়া দ্বারা পরিচালিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, নদীর ৪৯ শতাংশ অংশে 'অত্যন্ত উচ্চমাত্রায় জীববৈচিত্র্য স্তর' রয়েছে এবং এতে করে গত কয়েক বছর ধরে গঙ্গার ডলফিন এবং ওটারের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। গঙ্গানদীর যে ৬টি প্রসারিস অংশে অতি মাত্রায় জীববৈচিত্র বৃদ্ধি পেয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে, উত্তরাখণ্ডের দেবপ্রয়াগ থেকে ঋষিকেশ (৬১ কিলোমিটার), উত্তর প্রদেশের মাকদুমপুর থেকে নরোড়া (১৪৭ কিলোমিটার), এবং  ভিতৌরা থেকে গাজীপুর (৪৫৪ কিলোমিটার), বিহারের ছাপড়া থেকে কাহালগাঁও (২৯৬ কিলোমিটার), ঝাড়খণ্ডের সাহিবগঞ্জ থেকে রাজমহল (৩৪ কিলোমিটার), এবং পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুর থেকে বারাকপুরে (২৪ কিলোমিটার)। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.