ঘৃণ্য! কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টার কথা লুকোতে তাকে খুন করে বাক্সের মধ্যে ভরা হল দেহ!


Odd বাংলা ডেস্ক: ধর্ষণ নিয়ে সচেতনতামুলক প্রচার যতই গড়ে তোলা হোক না কেন, অপরাধীরা যে তিমিরে ছিল, সেই তিমিরেই রয়েছে। ১৭ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে মেসোমশাই। আর সেই কথা যাতে কাক-পক্ষীও টের না পায়, তার জন্য নিজের স্ত্রীয়ের সঙ্গে পরামর্শ করে শ্যালিকার ১৭ বছরের মেয়েটিকে খুন করেছে মেসো। ভাবতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি! 

জানা গিয়েছে কিশোরীকে খুন করে তাঁর দেহ বক্স খাটের মধ্যে ভরে রেখেছিল তারা। দুজনেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, গত মাসে উত্তর-পূর্ব দিল্লির নন্দনগরী এলাকায় ঘটে গিয়েছে এই ঘটনা। জানা গিয়েছে, দিল্লিতে পড়াশোনা করত ওই কিশোরী। সেই জন্য সে তার মাসি মেসোর কাছেই থাকত। মেসোর নাম ভকিল পোদ্দার, বয়স ৫১ বছর। গত ২৩ অক্টোবর থেকে মেয়েটির কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। সোমবার মেয়েটির বক্স খাটের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয় কিশোরীর পচা-গলা দেহ। 


কিশোরীর মাসী একজন ভিখারি, ভিক্ষা করেই দিন চলে। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, গত ২৩ অক্টোবর বেলা ১২.৩০টা নাগাদ ভিক্ষে করে ফেরার তিনি বোনঝিকে বাড়িতে দেখতে পাননি। তার স্বামী মেয়েটিকে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের অনাথ আশ্রমে রেখে এসেছে বলে দাবি তাঁর। পুলিশ তদন্তে নেমে গাজিয়াবাদের আশ্রমে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে যে, ২৩ অক্টোবর ওই নামে কাউকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়নি। এতেই সন্দেহ দানা বাঁধে পুলিশের। এরপর বিহারের একটি বাস স্ট্যান্ড থেকে ভকিলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে ট্রানজিট রিমান্ডে দিল্লি নিয়ে গিয়ে আদালতে পেশ করা হয়। 

পুলিশের জেরার মুখে দোষ স্বীকার করে নিয়েছে অভিযুক্ত। ভকিল জানিয়েছে, কিশোরী তার শ্যালিকার মেয়ে। মাসখানেক আগে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করেছিল অভিযুক্ত। তাতে বাধা দেয় ওই কিশোরী। বিষয়টি জানার পর ভকিলের সঙ্গে অশান্তি শুরু করে তার স্ত্রী। ভকিল মেয়েটিকে বাড়িতেই রেখে দিতে চায়, কিন্তু আপত্তি করে স্ত্রী। এরপর ঠিক হয় মেয়েটি তার গ্রামের বাড়িতে ফিরে যাবে। কিন্তু দিল্লিতে থেকেই পড়াশোনা শেষ করতে চেয়েছিল ১৭ বছরের ওই কিশোরী। এই নিয়েই মেয়েটির সঙ্গে একাধিকবার বাগবিতণ্ডা হয় মাসি-মেসোর। এরপর রাগের বশে মেয়েটিকে মেরে ফেলতে বলে তার মাসি!এরপর এখচি লোহার রড দিয়ে আঘাত করে মেসো! মাথা থেকে গল গল করে রক্ত পড়তে শুরু করলে তাকে কম্বল মুড়িয়ে রাখে মেসো। এরপরই দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় কিশোরীর। এরপর বিছানার বাক্সেই ভরে রাখা হয় মৃতদেহ, পরে দেহটি সরানোর পরিকল্পনা থাকলেও তা আর করে ওঠা হয়নি।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.