নাক থেকে রক্ত পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহার করতে পারেন এইসব ঘরোয়া উপকরণ


Odd বাংলা ডেস্ক: নাক থেকে রক্ত পড়া বা এপিসটাক্সিস একটি খুব সাধারণ সমস্যা। যাঁরা এই সমস্যায় প্রায়শই ভোগেন তাঁরা জানেন যে এটি কতটা বিরক্তিকর। তবে, এর কিছু কার্যকর ঘরোয়া দাওয়াই আছে। তবে এর গুরুত্ব নির্ভর করে এর অবস্থা এবং কতটা ঘন ঘন এই সমস্যা হচ্ছে, তার ওপর। নোস ব্লিডিং দুই প্রকার- ইন্টেরিয়র ও পোস্টারিয়র ব্লিডিং। সামনের অংশে কোনও রক্ত জালক ছিঁড়ে গেলে সেখানে ইন্টেরিয়র ব্লিডিং হয়। অন্য দিকে, গলার কাছের অংশের রক্ত জালক ছিঁড়ে গেলে পোস্টারিয়র ব্লিডিং হয়। 

কী কারণে নাক থেকে রক্ত পড়ে-
  • গরম, তপ্ত ইনডোর এয়ার
  • শুষ্ক, গরম আবহাওয়া
  • শ্বাসযন্ত্রের ইনফেকশন
  • জোরে নাক টানা বা নাক ঝাড়া
  • নাকে বা মুখে আঘাত পাওয়া
  • এলার্জি রিঅ্যাকশন
  • প্রচুর পরিমাণে নেসাল স্প্রে ব্যবহার
  • বাহ্যিক কোনও বস্তু নাকে প্রবেশ করালে
  • শরীরে রক্তাল্পতা
  • রাসায়নিক উত্তেজকের প্রভাব

কোনও কোনও ক্ষেত্রে এই ব্লিডিং অন্তত ২০ মিনিট পর্যন্ত চলতে পারে। ঘরোয়া উপায় ইন্টেরিয়র ব্লিডিং বন্ধ করা গেলেও পোস্টারিয়র ব্লিডিং বন্ধ করবার জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তবে আপনার যদি মাঝে মধ্যেই নোস ব্লিডিং এর অভিজ্ঞতা থাকে, তবে এই ঘরোয়া টোটকাগুলো ব্যবহার করে দেখতে পারেন।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু উপায়- 

১)  ভিটামিন K- ভিটামিন K সমৃদ্ধ খাদ্য যেমন কলা, পালং শাক, সর্ষে শাক, ব্রকোলি, বাঁধাকপি শরীরে কলিজেন উৎপন্ন করে যা নাকের ভিতরের অংশকে আদ্র রাখতে সাহায্য করে। দীর্ঘদিনের সুস্থতার জন্য ভিটামিন K সমৃদ্ধ খাবার খান। সবুজ শাক সবজি রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।

২) ভিটামিন C-প্রতিদিন ভিটামিন C সমৃদ্ধ খাদগ্রহণের ফলে রক্ত জালকগুলো মজবুত হয় ফলে সহজে ছিঁড়ে যেতে পারে না। ফলে নাক থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হয়।

তবে মনে রাখবেন ভিটামিন  C এবং ভিটামিন K দীর্ঘকালীন মুক্তির মাধ্যম। এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিক মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়।

৩) আপেল সিডার ভিনিগার- রক্ত জালকগুলো মজবুত করতে সক্ষম হওয়ায় এটি একটি অত্যন্ত উৎকৃষ্ট ঘরোয়া ওষুধ। এর জন্য আপনাকে সামান্য তুলো এই ভিনিগারে ভিজিয়ে নাকের ক্ষতিগ্রস্ত জায়গায় কমপক্ষে ১০ মিনিটের জন্য রাখতে হবে। এটি তাৎক্ষণিক কাজ শুরু করে।

৪)  স্যালাইন ওয়াটার- শীতকালে নাকের ভিতরের শুষ্ক ভাব নাক থেকে রক্ত পড়ার অন্যতম প্রধান কারণ। স্যালাইন ওয়াটার এই সমস্যা দূর করতে পারে। নাকের ভিতরের অংশের আদ্রতা ফিরিয়ে আনতে, একটা বাটিতে কিছুটা স্যালাইন ওয়াটার নিয়ে ভাল করে নাকের মধ্যে কয়েক ফোঁটা রাখুন।

৫) গোলমরিচ গুঁড়ো- এটি উদ্দীপকে কাজ করায় রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম, ফলে আহত স্থানের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করতে পারে। ব্লিডিং শুরু হলেই এক চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো জলে মিশিয়ে খেয়ে নিতে পারলে অতি দ্রুত ব্লিডিং বন্ধ হয়ে যায়।

৬) পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করুন- লের ঘাটতির জন্য নাকের ভিতরের মিউকাস পর্দা শুকিয়ে যায়, যার ফলে নোস ব্লিডিং শুরু হয়। তাই সারাদিন প্রচুর জল পান করুন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.