সাত মাস পর গড়াল লোকাল ট্রেনের চাকা, করোনা আবহে শিকেয় উঠল সামাজিক দূরত্ববিধি

Odd বাংলা ডেস্ক: সাত মাসেরও বেশি সময়ের পরে বুধবার থেকে পশ্চিমবঙ্গে স্থানীয় শহরতলির ট্রেন চলাচল পুনরায় শুরু হল। আর প্রথমদিই কার্যত জনজোয়ার দেখা গেলে লোকাল ট্রেনে। কোভিড-১৯ সংক্রমণকালে সামাজিক দূরত্বের নিয়মগুলি কার্যত চোখেই পড়ল না। পরিস্থিতি স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, আগামী দিনে আরও বেশি করে লোকাল ট্রেন চালাতে হবে।

রেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, প্রথমদিন ৬৯৬টি ট্রেন চালু করা হয়েছে। ভিড় সামাল দিতে সকাল এবং বিকেলের ব্যস্ত সময় ৮৫ শতাংশ ট্রেন চলেছে। লোকাল ট্রেন পুনরায় চালু হওয়ায় হাওড়া থেকে কলকাতা পাশাপাশি আরও শহরতলি এলাকা থেকে কলকাতায় যাতায়াত করা লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে স্বস্তি এনে দিয়েছিল। 

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার লক্ষ্মীকান্তপুরের বাসিন্দা সরলা দাস, যিনি পরিচারিকার কাজ করেন, তাঁর কথায়, 'আমাদের মতো লোকদের জীবন যাপনের জন্য কলকাতায় যাওয়া দরকার, তাদের কাথে এটা একটি বড় স্বস্তি। আমি সাত মাসেরও বেশি সময় পরে কলকাতায় যাচ্ছি। মহামারী চলাকালীন আমি কাজ হারিয়েছি। এখন কলকাতায গেলে আমি আবারও কাজের খোঁজ করতে পারব।'

লোকাল ট্রেন চালু হওয়ার প্রথমদিনে, স্টেশনের ভেতরে এবং বাইরে যাত্রীদের যাতায়াতের জন্য প্রবেশ ও প্রস্থানের গেট পৃথক করা হয়েছিল, পুলিশ এবং রেলওয়ে নিরাপত্তা কর্মীরা নিশ্চিত করেছেন যে মাস্ক না পরে এবং থার্মাল স্ক্রিনিং না করে স্টেশনে প্রবেশ করা যাবে না। টিকিট কাউন্টারে এবং প্ল্যাটফর্মেও লাইন বজায় রাখা হয়েছিল।

কিন্তু যতই দিন গড়িয়েছে ততই শিকেয় উঠেছে সামাজির দূরত্ববিধি। এমনকি কিছু কিছু স্টেশনে লোকের ধাক্কাধাক্কিও চোখে পড়ে। কিছু কিছু ট্রেনে উপচে পড়েছিল ভিড়। সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলার জন্য জোড়-বিজোড় করে সিট ফাঁকা রাখার জন্য মার্ক করে দেওয়া হয়েছিল এমনকি একটা সময়ে যাত্রীদের সেইসব সিট দখল করতেও দেখা যায়।  এক যাত্রীর কথায়, 'কোনও আসনই শূন্য ছিল না এবং লোকজন দাঁড়িয়েও ছিল। প্রায় সকল যাত্রীর ফেসমাস্ক পরা থাকলেও খুব কমই বগিতেই সামাজিক দূরত্বের নিয়মাবলী বজায় রেখেছিল কেউ। আগামী দিনে রেলওয়ে ট্রেনের সংখ্যা বাড়িয়ে দিতে পারলে ভাল হবে।'

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.