ধূমপানের অভ্যাস বদলে দিতে সহায়ক মৌরি


Odd বাংলা ডেস্ক: দৈনন্দিন নানা কাজের মতোই নিকোটিনের ধোঁয়ায় আসক্ত অনেকে। আর দশটা অভ্যাসের মতোই খুব সাধারণ ধূমপানের অভ্যাস। তবে ধূমপানের কারণে আপনার ফুসফুসের বারোটা বেজেই যাচ্ছে। অনেকে অতিরিক্ত ধূমপানের কারণে মারা যায়। হয়তো অনেকবারই ধূমপান ছাড়ার চেষ্টা করেছেন। একেবারে বাদ দিতে পারেন নি কোনোবারই। এই অভ্যাসটিতে যখন মানুষ আসক্ত হয়ে পরে তখন শারীরিক ও মানসিক উভয় ধরনের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে। এ কারণে এই অভ্যাস ত্যাগ করা উচিত। কিন্তু যারা ধূমপানে আসক্ত হয়েছে তারা খুব সহজে এই অভ্যাসটি ত্যাগ করতে পারে না। এর কারন হল হুটহাট করে ধূমপান ছেড়ে দিলে প্রথম প্রথম কিছু কিছু প্রক্রিয়ার সম্মুখীন হতে হয়। এই কারণে তাদের পক্ষে ধূমপান ছেড়ে দেয়া কঠিন হয়ে পরে। 

এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করবে মৌরি। অনেকে মিষ্টি জিরা নামেও চিনে থাকতে পারেন। যারা ধূমপান ছাড়তে চাইছেন তারা সামান্য ঘি দিয়ে মৌরি ভেজে কৌটাতে ভরে রাখুন। সিগারেট খেতে ইচ্ছে করলেই এক চামচ করে মৌরি ভাজা খান। এতে করে ধীরে ধীরে নেশা কমবে যাবে। এছাড়াও আরো কয়েকটি কাজ করতে পারেন- 

> আজ থেকেই ধূমপান ছাড়ার প্রতিজ্ঞা করুন। টেবিল কিংবা পকেটে রাখা সিগারেটের প্যাকেট ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলুন। 
> একদিন ধূমপান না করে দেখুন। এরপর পার্থক্য অনুভব করার চেষ্টা করুন। এরপর দুইদিন , তিনদিন ধূমপান থেকে দূরে থাকুন। তাহলে অভ্যাস গড়ে উঠবে। 
> আপনার আশপাশে যারা ধূমপান বর্জন করেছে তাদের অনুসরণ করুন। তাদের স্বাস্থ্যগত কী পরিবর্তন এসেছে সেটি জানার চেষ্টা করুন। 
> আচ্ছা একটা হিসাব করে দেখুন তো সিগারেট কিংবা তামাকজাত পণ্যের জন্য প্রতিমাসে আপনার কত টাকা খরচ হয়? এতে করে দেখলে ধূমপান ছাড়া আপনার জন্য সহজ হবে। সে টাকা জমিয়ে অন্য খাতে খরচ করতে পারেন। 
> আপনার ধূমপায়ী বন্ধুদের সঙ্গ সুকৌশলে এড়িয়ে চলুন। 
> সিগারেট ছাড়ার পর মুখে চুইংগাম কিংবা আদা চিবোতে পারেন। তাহলে ধূমপানের প্রতি আকর্ষণ কমে আসবে। 
> যে সময়টিতে আপনার ধূমপান করতে ইচ্ছা করবে সে সময়ে রাস্তায় হাঁটুন। তাহলে ধূমপানের চাহিদা থাকবে না। 
> যেকোনো জায়গায় ধূমপান কর্নার থেকে দূরে থাক। 
> ধূমপান বিরোধী এবং স্বাস্থ্য সচেতনতার বই পড়তে পারেন। 
> উপরের কোনোটাই যদি করতে না পারেন। তাহলে সর্বশেষ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে কাউন্সেলিং-এর সহায়তা নিতে পারেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.