কালো জাদু করতে ৬ বছরের শিশুকন্যাকে গণধর্ষণ এবং খুন করে বের করে নেওয়া হল ফুসফুস!


Odd বাংলা ডেস্ক: আজকের দিনে দাঁড়িয়েও কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে মানুষ যে কতখানি ঘৃণ্য এবং নৃশংস কাজ করতে পারে তার প্রমাণ দিল উত্তরপ্রদেশের কানপুরের এই ঘটনা। একটি ৬ বছরের শিশুকন্যাকে গণধর্ষণ করে তাকে খুন করে তার ফুসফুস বের করে আনা হয়েছে বলে খবর। 

পুলিশ জানিয়েছে, কালো জাদু করতেই শিশুটির শরীর থেকে ফুসফুস কেটে বের করে আনা হয়েছে। সংবাদ সংস্থাকে পুলিশ আরও জানায় যে, এক মহিলার সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য একটি শিশুকন্যার ফুসফুস লাগবে- এমন কালোজাদু করতেই শিশুটির শরীর থেকে বের করে আনা হয়েছিল ফুসফুস! আর এই ঘটনায় তীব্র নিন্দার ঝড় তুলেছেন মানবাধিকার কর্মীরা। 

জানা গিয়েছে, ঘাটামপুর এলাকা থেকে দীপাবলির রাত থেকেই নিখোঁজ ছিল মেয়েটি। তার লাশ উদ্ধারের পরে পুলিশ মেয়েটির খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত ২০ বছর বয়সী অঙ্কুল কুড়িল এবং ৩১ বছরের বীরন-কে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তরা দাবি করেছে, মেয়েটিকে হত্যা করা হয়েছিল এবং তার ফুসফুস কেটে বের করা হয়েছিল মূলত কালো জাদু করার জন্য। আর সেই ফুসফুস তারা তুলে দিয়েছিল মূল ষড়যন্ত্রী পরশুরাম কুড়িলকে।

পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার পরশুরামকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এবং সবকিছু জানা সত্ত্বেও চুপচাপ থাকার কারণে তার স্ত্রীকেও আটক করা হয়েছে। আরও জানা গিয়েছে যে, শুরুর দিকে পরশুরাম পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করলেও পরে সে অপরাধ কবুল করে নেয়। পরশুরাম পুলিশকে জানিয়েছিলেন যে, ১৯৯৯ সালে তার বিয়ে হয়েছিল কিন্তু এখনও পর্যন্ত তার কোন সন্তান হয়নি। তাই সে তার ভাইপো অঙ্কুল এবং তার বন্ধু বীরানকে একটি মেয়েকে অপহরণ করতে এবং তার ফুসফুস অপসারণ করতে রাজি করিয়েছিল সে। 

এরপর হত্যাকারী অঙ্কুল এবং বীরন আতশবাজি কেনার জন্য বাইরে যায় এবং মেয়েটিকে অপহরণ করে। এরপর তাকা মেয়েটিকে প্রথমে একটি জঙ্গলে নিয়ে যায় এবং তারপর মেয়েটিকে হত্যা করার আগে তারা তাকে ধর্ষণ করে! অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা (পকসো) আইনের আওতায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.