কম্পিউটারের ডেস্কটপের সেই বিখ্যাত ব্যাকগ্রাউন্ড পিকচার এই বৃদ্ধেরই তোলা

Odd বাংলা ডেস্ক: কম্পিউটার ওপেন করলেই আপনার সামনে দিগন্ত জোড়া সবুজ আর নীল আকাশের ছবি ভেসে ওঠে। ছোটবেলা থেকেই এই ছবি আমরা দেখে আসছি। এখনো এই ছবিটি দেখলে মনে হয়, আরে এটা তো সেই কম্পিউটারের উইন্ডোজের ওয়ালপেপার।    

উইন্ডোজ এক্সপি-তে ডিফল্ট ওয়ালপেপার হিসেবে ব্যবহৃত ছবি ব্লিসকে বিশ্বের ইতিহাসে সর্বাধিক দেখা ছবি বলে মনে করা হয়। এই ছবিটির সঙ্গে পরিচিত নন এমন মানুষ খুঁজে পাওয়াই যাবে না। জানেন কি এই ছবির পেছনের গল্পটি? এই ছবিটি ফ্রেমবন্দি করা হয়েছিল ১৯৯০ সালে।

আর পেছনের মানুষটি ছিলেন আলোকচিত্রী চার্লস ওরিয়র। চার্লস ক্যালিফোর্নিয়ার সোনোমা কাউন্টিতে তার বিখ্যাত ছবিটি ধারণ করেছিলেন। তার বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় মাঝ পথে এই দৃশ্য তার চোখে পরে। এক মুহূর্ত দেরি না করে ফ্রেমবন্দি করেন এই সুন্দর দৃশ্যটি।

২০০০ সালে উইন্ডোজ এক্সপি চালু হওয়ার এক বছর আগে,মাইক্রোসফট এই ফটো রাইটস কিনে নেন। এর আগে অবশ্য ছবিটি কার্বিসকে পাঠানো হয়েছিল।

চার্লস ওরিয়র ১৯৯০ সালের তোলা এই ছবিটি এমন এক ছবি। যা পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দৃশ্যমান ছবি! কম্পিউটার অন করলে স্ক্রিনে ভেসে ওঠে তার তোলা ছবিটি। যদিও মাইক্রোসফট কোম্পানি এটি চার্লসের কাছ থেকে কিনে নিয়েছিলেন। বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মূল্যে বিক্রি (স্বত্ত্বাধিকার হস্তান্তর) হওয়া ছবি এটি।

চার্লসের বয়স এখন ৭৬ বছর। তিনি ছিলেন একজন শখের ফটোগ্রাফার। বন্যপ্রাণী এবং বিশেষ করে ভ্রমণের ছবি তুলতে পছন্দ করতেন তিনি। ১৯৪১ সালে মিসৌরিতে জন্মগ্রহণ করেন এই আমেরিকান ফটোগ্রাফার।

মাত্র ১০ বছর বয়সে প্রথম ব্রাউনি ক্যামেরা চালাতে পারতেন তিনি। ছোটবেলায় তিনি পাইলট হতে চেয়েছিলেন এবং ১৬ বছর বয়সে তার লাইসেন্সও পেয়ে যান। ১৯৬১ সালে তিনি দৈনিক পত্রিকা এমপোরিয়া গেজেটে একজন ফটোগ্রাফার হিসাবে যোগ দেন।

এরপর ১৯৬২ সালে কানসাস সিটি স্টার একজন সাংবাদিক-ফটোগ্রাফার হিসেবে এবং ১৯৬৬ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসে লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসের স্টাফ ফটোগ্রাফার হিসেবে যোগ দেন। আর এখান থেকেই মূলত তার ফটোগ্রাফির আগ্রহ জন্মে। এখন পর্যন্ত তার তোলা অনেক ছবি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শীর্ষে অবস্থান করছে।  

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.