রসুন-আদা-হলুদ থাকলেই উধাও হবে নাক ডাকা!

Odd বাংলা ডেস্ক: হার্টকে বাঁচাতে নাক ডাকা বন্ধ করা যায় কীভাবে? উপায় আছে। আসলে এমন কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা রয়েছে, যা খুব অল্প সময়েই নাক ডাকার সমস্যা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই কম বয়সে হার্ট অ্যাটাকে মরতে না চাইলে এই লেখাটি পড়তে ভুলবেন না যেন! প্রসঙ্গত, নাক ডাকা বন্ধ করতে যে যে ঘরোয়া টোটকাগুলো দারুন কাজে আসে, সেগুলো হল-

মেথি

অনেক সময় নানাবিধ পেটের রোগের কারণেও কিন্তু নাক ডাকার মতো সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে। তাই নাক ডাকা বন্ধ করতে পেটের দিকে খেয়াল রাখারও প্রয়োজন রয়েছে। আর ঠিক এই কারণে প্রতিদিন মেথি খাওয়া জরুরি। আসলে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি খাওয়া শুরু করলে গ্যাস-অম্বলের প্রকোপ তো কমেই। সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতারও উন্নতি ঘটে চোখে পরার মতো। ফলে নার ডাকার সমস্যা কমতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, এ ক্ষেত্রে পরিমাণ মতো মেথি বীজ নিয়ে আধ ঘণ্টা জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। সময় হয়ে গেলে পানীয়টা পান করে শুয়ে পরতে হবে। এমনটা নিয়মিত করলে দেখবেন শরীর চাঙ্গা হয়ে উঠতে সময় লাগবে না।

আদা চা

বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে, নিয়মিত আদা চা খাওয়া শুরু করলে দেহের ভিতরে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যার প্রভাবে ন্যাজাল ক্যাভিটি খুলতে শুরু করে। ফলে নাক ডাকার প্রকোপ কমতে সময় লাগে না।

হলুদ

অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিবায়োটিক উপাদানে পরিপূর্ণ এই প্রকৃতিক উপাদানটি গ্রহণ করলে শরীরের ভিতরে ইনফ্লেমেশন বা প্রদাহ কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে কমে নাক ডাকার প্রবণতাও। এ ক্ষেত্রে প্রতিদিন শুতে যাওয়ার ৩০ মিনিট আগে এক গ্লাস গরম দুধে ২ চামচ হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে পান করার অভ্যাস করতে হবে। এমনটা করলেই দেখবেন রাতের ঘুমে কেউ ব্যাঘাত ঘটাতে পারবে না।

মধু

রাতে শুতে যাওয়ার আগে নিয়ম করে যদি এক গ্লাস গরম জলে ১ চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন, তাহলে নাকা ডাকার সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার সুযোগই পায় না। কারণ মধুর ভিতরে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি উপাদান গলার প্রদাহ কমায়। সেই সঙ্গে শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক করে তোলে। ফলে নাক ডাকার সম্ভাবনা কমে।

ঘি

নাক ডাকার সমস্যা কমাতে ঘি-এর কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে অল্প পরিমাণ ঘি গরম করে তার থেকে ২-৩ ড্রপ করে নিয়ে যদি নিয়মিত নাকে দেওয়া যায়, তাহলে নাসিকা গর্জ থামতে একেবারেই সময় লাগে না। আসলে ঘিয়ে উপস্থিত বেশ কিছু উপকারি উপাদান নাকের ভিতরে বায়ু-চলাচলের পথকে খোলা রাখতে সাহায্য করে। ফলে নাক ডাকার প্রবণতা একেবারে কমে যায়।

রসুন

নাকের ভিতরে মিউকাস জমতে বাঁধা দেয় এই প্রকৃতিক উপাদানটি। সেই সঙ্গে রেসপিরেটারি সিস্টেমের উন্নতি ঘটায়। ফলে শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক হতে শুরু করে, কমতে শুরু করে নাক ডাকার সমস্যা। এ ক্ষেত্রে নিয়মিত ১-২ টো রসুনের কোয়া চিবিয়ে, এক গ্লাস জল খেয়ে শুতে যেতে হবে। তাহলেই দেখবেন নাসিকা গর্জন আর আপনাকে বা আপনার প্রিয়জনকে বিপদে ফেলতে পারবে না।

এলাচ

অনেক সময় নাকের ভিতরে কোনও বাঁধা থাকার কারণেও নাক ডাকার মতো সমস্যা দেখা দেয়। এ ক্ষেত্রে নিয়মিত ঘুমনোর আগে এলাচ চা খেলে কিন্তু দারুন উপকার মেলে। কারণ এই প্রকৃতিক উপাদানটি ভিতরে উপস্থিত একাধিক উপাকারি উপাদান নাকের ভিতরের বাঁধা সরিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক করতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। আর একবার শ্বাস-প্রশ্বাস ঠিক মতো হতে থাকলে নাক ডাকার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.