'নায়ক সিনেমায় আমাকে না নিয়ে উত্তমকে নিলেন কেন?' সৌমিত্রের প্রশ্নে কী উত্তর দিয়েছিলেন সত্যজিৎ রায়



Odd বাংলা ডেস্ক: উত্তম কুমারকে নিয়ে চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায় কাজ করেছিলেন মাত্র দুটো ছবিতে। উত্তমকে যখন সত্যজিৎ রায় প্রথম বড়পর্দায় দেখেন তখন উত্তম কুমার ইতোমধ্যেই মহানায়ক, কিন্তু সত্যজিৎ তার পরিচালনার খাতা খুলতে পারেননি। সত্যজিতের সবচেয়ে চোখে পড়েছিল নির্মল দে এর পরিচালনায় উত্তম কুমারের বসু পরিবার ছবিটি। মঞ্চ অভিনেতা হওয়া সত্তে¡ও তার সিনেমার অভিনয়ে ছিল না মঞ্চের কোনো ছাপ। সুচিত্রা সেনের সঙ্গে রোমান্টিক জুটি হয়ে সারা বাংলা কাপালেও সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে তার কাজ করা হয়েছিল ব্যতিক্রমী দুটি ছবিতে যার নাম ‘নায়ক’ ও ‘চিড়িয়াখানা’। নায়ক ছবিতে পাড়ার অভিনেতা থেকে সুপারস্টার অভিনেতা হওয়ার গল্প নিয়ে নির্মিত ছবিতে উত্তম কুমার খুঁজে পেয়েছিলেন যেন নিজেকে। ওদিকে চিড়িয়াখানায় তিনি হয়েছিলেন শরদিন্দুর পোড় খাওয়া গোয়েন্দা ব্যোমকেশ বক্সী।  ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে সত্যজিৎ বেছে নিয়েছিলেন বিভূতিভূষণ, তারাশংকর, রবিঠাকুর কিংবা পরশুরামের বিভিন্ন গল্প-উপন্যাসকে। তবে ১৯৬৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত নায়ক গল্পের রচয়িতা সত্যজিৎ নিজেই।

নির্মাতা হিসেবে নিজের চাহিদা থেকে একচুল সরানো যেত না সত্যজিৎকে। লোকমুখে জানা যায়, এই কিংবদন্তি পরিচালকের সঙ্গে সর্বাধিক কাজ করা অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এসে একদিন সত্যজিৎকে জিজ্ঞাসা করলেন, নায়ক সিনেমাতে আমাকে নিলেন না কেন? সত্যজিৎ সৌমিত্রর দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলেছিলেন তুমি কি উত্তম!
 
‘নায়ক’ উত্তমকে দেখেই মনে হয়। ক্যারিজমা উত্তমকে দেখেই মনে হয়। প্রেমিক উত্তমকে দেখেই মনে হয়। সৌমিত্র ভাল অভিনেতা নিশ্চয়ই। কিন্তু নিত্য নতুন প্রেমে পড়ানোর ওই যে লুক, ছোট ছোট দিক, সেটা সৌমিত্রর মধ্যে ছিলনা। আর নায়ক ছবির জন্য উত্তমকেই তাই চেয়েছিলেন সত্যজিৎ। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.