এক সময় এরকম আজবই ছিল আমাদের এই পৃথিবী!
Odd বাংলা ডেস্ক: প্রাচীন মানুষ! কেমন ছিলেন তারা? কেমন ছিল তাদের দৈনন্দিন জীবন, তাদের অভ্যেস? আজ বর্তমান প্রযুক্তির এই শীর্ষ সময়ে দাঁড়িয়ে, গবেষনার সর্বোচ্চ পর্যায় নিশ্চিত করেও যদি আমরা ভেবে থাকি আমাদের পূর্ববর্তী মানুষদের বিষয়ে সব জানা হয়ে গেছে তাহলে এটা বোকামি হবে। বলা যায় অবশ্যই আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের অনেক কিছুই জানি না। অনেক কিছু আজও রয়ে গেছে এবং থেকেও যাবে অজানা।
অনেক অনেক কাজকে আমরা আধুনিক কাজ বলে বিশ্বাস করলেও জানা যায় এসব কাজ প্রাচীন মানুষেরা সেসময়েই করে এসছেন। যদিও এর পদ্ধতি ছিল ভিন্ন, স্বভাবগত ভাবেই প্রাচীনত এবং উদ্ভট। আজকে আমরা এমন কিছু অভ্যেশ বা রীতি নিয়েই আলোচনা করবো, যা আমাদের পুর্ববতী মানুষেরা স্বাচ্ছন্দের সাথে করতে পারলেও আমরা এই আধুনিক সময়ে গ্রহন করার যে চূড়ান্ত ক্ষমতা নিয়ে বাস করছি, সেখান থেকেও মেনে নিতে পারব না। এতটাই উদ্ভট সেইসব কাজ।
আসুন তবে জেনে নেই প্রাচীন মানুষদের সম্পর্কে কিছু উদ্ভট, অশ্লীল, অযৌক্তিক তথ্য যা আমাদের মনকে শিউরে তুলবে খানিকেই-
১. চুল রঙ করাকে আপনার কাছে কি মনে হয়? খুব আধুনিক? হালের ফ্যাশনেবল ছেলেরা-মেয়েরা এইসব করে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়ায়? তবে আপনি ভুল ভাবছেন। চুলে রঙ করা মানুষের একটি প্রাচীন অভ্যেস। গ্রীক এবং রোমান নারীরাই প্রথম চুলে রঙ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল তখনকার পুরুষদের। এরপর থেকে পুরুষরাও চুলে রঙ দেয়া শুরু করে। ১৭০০ সালে গ্রীকরা এবং তারপর রোমানরা প্রথম চুলে রঙ করে।
কিন্তু ঘটনা সেটা নয়, ঘটনা হচ্ছে চুলে রঙ করার জন্য তারা আসলে যা ব্যবহার করতো সেটা হচ্ছে বিষাক্ত সালফার। এটা তারা করতো কারণ তারা বিশ্বাস করতো চুলে বিভিন্ন রকম রঙ করা হলে মাথা ব্যাথা দূর হয়ে যায়।
২. নারীদের রুপ চর্চা যে একটি প্রাচীন বিষয় তা বুঝতে কারো কোন সমস্যাই হবার কথা নয়। নারীরা নিজেকে সুন্দর দেখাবার জন্য সব প্রয়াসই করেছেন। মেইক আপের মাত্রা গড়িয়েছে সার্জারী অব্দি। ঠোঁটের, নাকের, মুখের এমনকি স্তন যুগলেরও সার্জারী নারীরা করেন।
তবে আপনি অবাক হয়ে যাবেন জেনে যে, এই স্তন সার্জারী কিন্তু আজকের আধুনিক সময়ের উদ্ভাবন নয়। বলা যায় বহু আগেই এই সার্জারী দিয়ে মানুষ চিকিৎসাশাস্ত্রে আধুনিকতার সন্ধান পায়।
১৮৯৫ তে ‘ভিনসেন্ট সেজনি’ নামের একজন চিকিৎসক প্রথম এই সার্জারী করেন। তিনি তার রোগীর স্তন যুগল আরো বড় এবং আকর্ষণীয় করে তোলেন। এর জন্য তিনি ব্যবহার করেন হাতির দাঁত এবং রাভার। তবে স্তন বড় করবার এই আকাঙ্খা নারীদের আরো আগে থেকেই ছিল। তারা তখন এর জন্য নারিকেলের তেল ব্যবহার করে থাকতেন।
৩. এখন যেটা বলবো সেটা আরও উদ্ভট। যেমন আগের দিনের মানুষ বিভিন্ন পশু পাখিদের মলকে বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করতেন। যদিও তার কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি ছিল না।
যেমন নারীরা বিশ্বাস করতেন কুমিরের মল দিয়ে গর্ভনিরোধকতা সম্ভব। এর জন্য তারা পুরুষদের মাধ্যমে কুমিরের মল সংগ্রহ করতেন এবং নিজেদের যোনিতে ব্যবহার করতেন।
৪. আগের দিনের মানুষেরা ভাবতেন মানুষের সকল রোগের উৎসই হচ্ছে শয়তান। এই শয়তানের নজরে পড়েই মানুষের যত রোগ। তাই তারা এক উদ্ভট পদ্ধতির আবিস্কার করলেন। এই পদ্ধতিকে বলা হয় ‘ড্রিল পদ্ধতি’।
তারা মানুষের মাথায় ছুঁড়ি দিয়ে গর্ত করে ফেলতেন যদি মাথা ব্যাথা হত। আশ্চর্য এই, এরপরেও অনেক মানুষ এই যন্ত্রণা ভোগ করার জন্য বেঁচেও থাকতেন।
Post a Comment