মাটির নিচে লুকিয়ে কোটি কোটি টাকার হিরা!

Odd বাংলা ডেস্ক: ‘হীরা’ কথাটি শুনলেই মনের মধ্যে একধরনের আকাঙ্খা তৈরি হয়। মূল্যের দিক থেকে এটি যেমন সর্ব শিখরে, তেমনি অলঙ্কার হিসেবে এর ব্যবহার আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবে সকলের নিকট সমাদৃত। অন্যান্য বস্তুর তুলনায় পৃথিবীতে হীরের পরিমাণ কম।

তবে সম্প্রতি আমেরিকার ভূতত্ত্ব বিভাগের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূগর্ভে মজুদ রয়েছে হাজার হাজার টন হীরা। ভূস্তরের গভীরে সিসমিক রশ্মি পাঠিয়ে এমন তথ্য জানা গেছে। শুনতে অবাক লাগলেও, বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ‘জিওকেমিস্ট্রি, জিওফিজিক্স, জিওসিস্টেম’ নামক জার্নাল।

ওই জার্নালে বলা হয়েছে, বেশ কয়েক বছর ধরে একটি ধাঁধার উত্তর খুঁজছিলেন বিজ্ঞানীরা। তারা জানতে চেষ্টা করছিলেন, কেন ভূপৃষ্ঠের ১৬১ কিলোমিটার গভীরে সিসমিক রশ্নি স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুত গতিতে ছুটে চলে? এই উত্তর খুঁজতে গিয়ে ভূগর্ভে ক্রেটোনিক পাথরের সমাবেশ পান।

পেন স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জোশুয়া গার্বারের মতে, এইসব পাথরের ওপর ভর করে মহাদেশগুলো তাঁর অবস্থানে দাঁড়িয়ে রয়েছে। পৃথিবী সৃষ্টির প্রথম দুই কোটি বছরে এই পাথরগুলোর সৃষ্টি হয়।

কয়েকটি বিরল আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে পৃথিবীর গভীর থেকে যে তপ্ত ম্যাগমা উদগীরণ হয়, তা পরীক্ষা করেই এই পাথরগুলোর প্রথম সন্ধান মেলে। তবে পাথরগুলোর সঠিক উপাদান ও কী কারণে এর ভেতরে প্রবেশ করলে সিসমিক রশ্মির গতি বেড়ে যায়, সেই রহস্য এখনো সমাধান হয়নি।

তবে সম্প্রতি এক গবেষণায় গবেষকরা এই পাথরের উপদানগুলো বুঝতে চেষ্টা করেন। এ বিষয়ে গার্বার বলেন, ভূগর্ভের ওই স্তরে সিসমিক রশ্মির গতি বৃদ্ধির পিছনে শুধু পাথরের ভূমিকা নেই। তার চেয়েও শক্ত কোনো বস্তুর উপস্থিতি রয়েছে সেখানে।

আর সেই পদার্থ খুঁজতে গিয়েই মেলে বিষ্ময়কর উত্তর। জানা যায়, পৃথিবীর ভূগর্ভে মজুদ রয়েছে হাজার হাজার টন হীরার স্তুপ। বিজ্ঞানীদের হিসাব বলছে, এই ক্রেটোনিক পাথরের দুই শতাংশ শুধু হীরা দিয়েই তৈরি।

এই অফুরন্ত হীরার খবর মিললেও তা উদ্ধার করা বিষয়ে গার্বার বলেছেন, এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত প্রযুক্তি দিয়ে এগুলো উদ্ধার করা সম্ভব নয়। তবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এটা উদ্ধার করার প্রযুক্তি আবিষ্কার করতে পারে বলে তিনি আশা করেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.