কাটা চুলেই কোটি কোটি টাকার ব্যবসা!

Odd বাংলা ডেস্ক: গ্রামের গঞ্জে এক ধরনের মানুষের দেখা মেলে যারা মেয়েদের ঝড়ে পড়া চুলের বিনিময়ে বিভিন্ন কিছু বিক্রি করে। এছাড়া অর্থের বিনিময়েও তারা চুল সংগ্রহ করে। শুধু গ্রাম গঞ্জেই না। শহরের বিভিন্ন বিউটি পার্লারও মেয়েদের চুল কাটার পর সংগ্রহ করে রাখে। পরে তা বিক্রি করে দেয়। 

কেটে ফেলা এই চুল দিয়েই চলছে কোটি টাকার ব্যবসা। শুধু দেশেই নয় বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে এই চুল। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর হিসেবে ২০১৭ অর্থবছরে বিভিন্ন দেশে চুল রপ্তানি করেআয় হয়েছে প্রায় ২ কোটি মার্কিন ডলার। যা প্রায় ১৫০ কোটি টাকার কাছাকাছি।

জানা গেছে, কিছুদিন আগে পর্যন্ত বিউটি পার্লারে কাটা চুল বস্তায় ভরে কিনে নিয়ে যেত অনেকে। তবে এখন আর ছোট চুলের চাহিদা নেই। বড় চুল কেউ কাটলে পার্লারের মেয়েরাসেগুলো সংরক্ষণ করেন এবং পরে একসঙ্গে অনেক চুল হলে বিক্রি করেন। আর গ্রামে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে চুল সংগ্রহ করা ফেরিওয়ালা এখন অলিতে-গলিতেও হানা দেয়।মেয়েদের ঝড়ে পড়া চুল নিয়ে যায় ফেরিওয়ালারা, বিনিময়ে দেয় অনেককিছুই। চুলের বদলে দেওয়া হয় ক্লিপ, সেফটিপিন, স্টিলের বাটি, চামচ।

আর দেশে পরচুলা তৈরির কারখানাও তৈরি হয়েছে। তাদের কাছ থেকে জানা যায়, এখন পরচুলার বেশ ডিমান্ড। মানুষ আসছে নিজেদের মাথার উইগ বা পরচুলা তৈরির জন্য। কেউচাকরির ইন্টারভিউ দেবেন,কেউ বিয়ের পাত্রী দেখতে যাবেন, আবার কেউ টেলিভিশনে খবর পড়বেন। এমন অনেক কাজের জন্য পরচুলা লাগছে মানুষের। আবার পরচুলা ছাড়াও আইল্যাশ বা চোখের পাপড়ি তৈরিতে ব্যবহার হচ্ছে কেটে ফেলা চুল।

আর এই পরচুলা প্রতিষ্ঠানের সূত্র থেকেই জানা যায়, কাটা চুল কেজি প্রতি তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা পযৃন্ত বিক্রি হয়। তবে চুলের আকার হতে হয় কমপক্ষে আট ইঞ্চি লম্বা।

জানা গেছে, মূলত স্বাধীনতার পর থেকেই চুল সংগ্রহের ব্যবসাটি চলে আসছিল। তবে তা সবচেয়ে বেশি ছড়িয়ে পড়তে থাকে ১৯৯৯-২০০০ সালের পর থেকে। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.