অমূল্য ‘তিমির বমি’ রাতারাতি ধনী বানিয়ে দিল জেলেকে

Odd বাংলা ডেস্ক: বমির কথা শুনে নিশ্চয় গা ঘিনঘিন করছে আপনার। তবে বমিও কিন্তু মূল্যবান, যদি তা হয় তিমির বমি। তিমির বমি কতটা মুল্যবান তা তো সবাই জানেন। থাই মৎস্যজীবী নরিস সুভাননসাং তার বাড়ির কাছে একটি সৈকতে এটি পেয়েছেন। রাতারাতি এটি তাকে একেবারে ধনী বানিয়ে দিয়েছে।

নরিসের ছয় বছর বয়সী ছেলে একদিন সৈকতে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। এই সময় সে জেলি-জাতীয় কিছু জিনিস দেখতে পায়। হাতে নিয়ে দেখলেও সে আন্দাজ করতে পারেনি। এরপর এগুলো তার বাবা নরিসকে দেখায়। নরিস বুঝতে পারে সে আসলে আকাশের চাঁদ হাতে পেয়েছে। ক্ষিণ থাইল্যান্ডের নাখন সিতে এটি পাওয়া যায়। 

এই ‘বমি’র গন্ধ নাকি এতটাই মোহময় যে বিশ্বের বিখ্যাত সব সুগন্ধি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে দামি পারফিউমগুলোর অত্যাবশ্যকীয় উপাদান এই অ্যাম্বারগ্রিজ। তবে প্রসাধনীর বাইরে বিরল কিছু রোগের ওষুধ তৈরিতেও এর ব্যবহার রয়েছে। এ ছাড়া কিছু বিশেষ ধরনের খাদ্য ও মদ তৈরি এবং ভেষজ ও হোমিওপ্যাথি ওষুধেও এর ব্যবহার করা হয়।

নরিসের আগে বিভিন্ন দেশেই জেলেরা এগুলো পেয়ে থাকেন। রাতারাতি একেবারে জিরো থেকে হিরো বনে যান তারা। অমূল্য এই সম্পদ পেয়ে ধনী হয়েছেন এই জেলে। নরিস পুলিশের সহায়তা চেয়েছেন। কেননা তিনি এটি চুরি যাওয়ার আশঙ্কা করছেন। এলাকার সবাই এই কথা এরইমধ্যে জেনে গেছে। ফলে তার বাড়ি থেকে এটি কেউ চুরি করতেও পারে।

তিনি বলেছেন এরইমধ্যে স্থানীয় এক উদ্যোক্তার সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়েছে। যিনি তাকে তিমি বমি প্রতি কেজিতে ৯ লাখ ৬০ হাজার বাইট (প্রায় ২৪ হাজার ডলার) দিতে চেয়েছেন। নরিস বর্তমানে মাসে  মাত্র ৫০০ ডলার উপার্জন করে।

সাধারণত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দেশগুলোর সাগরে এই অমূল্য বমি পাওয়া যায় মাঝে মাঝে। তিমির বমিকে ইংরেজিতে ‘অ্যাম্বারগ্রিস’ (Ambergris) বলে ডাকা হয়। সাধারণত স্পার্ম হোয়েলের থেকে এটি পাওয়া যায়। অত্যন্ত দামি সুগন্ধী তৈরিতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বিশ্বের সুগন্ধী প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোর কাছে তিমির বমির রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। আর তাই তো এই গা ঘিনঘিন করা জিনিসটার এতো মূল্য।  

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.