বার বার গরম করে এসব খাবার ভুলেও খাবেন না!

Odd বাংলা ডেস্ক: সবসময় টাটকা খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা! তবে একান্তই যদি দরকার পরে তাহলে সর্বোচ্চ একবার গরম করাই ভালো। এর বেশি গরম করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।

এবার জেনে নিন কোন কোন খাবার বার বার গরম করে খেতে নেই-

ভাত

ভাত রান্না করার সময় তাতে বেসিলস সিরিয়াস ব্যাক্টেরিয়া তৈরি হয়। রান্না করা ভাত ফের গরম করলে এই ব্যাক্টেরিয়া সংখ্যায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়ে ডায়েরিয়া পর্যন্ত হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ব্যাকটেরিয়া চাল সেদ্ধ করে ভাত তৈরি হয়ে যাওয়ার পরও বেঁচে থাকে। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রেখে দিলে এই ব্যাকটিরিয়ার বংশ বিস্তার করে! শুরু হয় বিষক্রিয়া। আবার ভাত ৫ থেকে ৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ফের গরম করা হলে এই ব্যাকটেরিয়া সক্রিয় হয়ে ওঠে।

ডিম

ডিম যদি দ্বিতীয়বার গরম করা হয় তাহলে এর পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়। ডিমের মধ্যে নানা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্মে। এসব ব্যাকটেরিয়া পেটের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এছাড়া ডিম দ্বিতীয়বার গরম করলে এর মধ্যে থাকা নাইট্রোজেন অক্সিডাইজড হয় যা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। এ কারণে পুষ্টিবিদদের মতে, ডিম রান্না কিংবা ভাজা যেভাবেই খান না কেন, কোনোটাই দ্বিতীয়বার গরম করে খাওয়া ঠিক নয়।

মুরগির মাংস

অনেকেই সময় বাঁচানোর জন্য একবারে অনেক মুরগির মাংস রান্না করে রেখে দেন। কিন্তু মুরগির মাংস বারবার গরম করে খাওয়া উচিত নয়। কারণ মুরগির মাংসে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। রান্নার পরে ফের তা গরম করলে প্রোটিনের কম্পোজিশন বদলে গিয়ে তা থেকে বদহজম হতে পারে।

চা

এটা আমাদের অনেকেরই জানা যে, একবার চা বানানোর পর তা ঠাণ্ডা হয়ে গেলে পুনরায় গরম করা উচিত নয়। কারণ চায়ের মধ্যে ট্যানিক অ্যাসিড থাকে। তৈরি করা চা ফের গরম করে পান করলে লিভারের ক্ষতি হতে পারে।

আলুর তরকারি

পুষ্টিগুণে ভরপুর এই খাদ্যটি যদি বারে বারে গরম করে খাওয়া হয়, তাহলে এতে উপস্থিত শরীরের উপকারী উপাদানগুলোর কর্মক্ষমতা কমে যেতে শুরু করে। ফলে এমন খাবার খেলে শরীরের কোনও উপকারেই লাগে না। শুধু তাই নয়, একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে বারবার গরম করে আলু দিয়ে বানানো কোনও তরকারি খেলে পেট খারাপ হওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে ফুড পয়েজেনিং হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।

পালংশাক

একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, পালংশাককে গরম করে খেলে শরীরে কার্সিনোজেনিক এলিমেন্ট বা ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদানের পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। আসলে পালংশাকে উপস্থিত নাইট্রেট গরম করার পর নাইট্রাইটস-এ রূপান্তরিত হয়ে যায়। আর এই উপাদানটি শরীরের পক্ষে একেবারেই ভাল নয়। তাইতো পালংশাক রান্না করার সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিত্সাকেরা।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.