প্রতিদিন নিয়ম করে বিষ খেতেন ইনি!

Odd বাংলা ডেস্ক: মানুষ তো বেঁচে থাকার জন্যই খেয়ে থাকে। কিন্তু কিছু মানুষ খাবার দাবারের প্রতি এতটাই অনুরক্ত হয়ে পড়েন যে, তাদের দেখলে মনে হয় যেন খাওয়ার জন্যই তারা পৃথিবীতে এসেছেন। এই দলের প্রকৃত উদাহরণ হতে পারেন গুজরাটের শাসক প্রথম মাহমুদ শাহ, যিনি মাহমুদ বেগদা নামেই বেশি পরিচিত। তিনি দীর্ঘ ৫৩ বছর (১৪৫৮-১৫১১) ধরে গুজরাট শাসন করে গেছেন। দেখতে ছিলেন সিংহের মত বলশালী, খেতেনও তেমন প্রচুর। তার খাওয়া দাওয়া নিয়ে প্রচলিত আছে নানা কাহিনী। 

তিনি বিষও খেতেন

শুধু পুষ্টিকর আর মুখরোচক খাবার দাবারই নয়, তিনি বিষও খেতেন নিয়মিত। এই কথা জানিয়েছেন পারশ্য আর ইউরোপের দুই পরিব্রাজক বারবোসা ও ভার্থেমার। তারা বলছেন, একবার নাকি মাহমুদ বেগদাকে বিষ প্রয়োগে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। এরপর থেকে তিনি বিষ খেতে শুরু করেন। তিনি প্রতিদিন অল্প পরিমাণ বিষ খেতেন, যাতে তার শরীর বিষে অভ্যস্ত হয় এবং বিষ দিয়ে যাতে কেউ তাকে হত্যা করতে না পারে। শোনা যায়, বিষ খেতে খেতে তার শরীর এতটাই বিষাক্ত হয়ে গিয়েছিল যে কেউ তার জামা কাপড়ে হাত দিতে চাইতেন না। কারণ তার জামাকাপড় ধরলেই হাত পুড়ে যেত।

সকালের খাবারে ৫০ কলা

মাহমুদ বেগদার সকালের খাবার মানেই এলাহি কাণ্ড। শুধু রুটি বা ডিম নয়। তার নাস্তায় আবশ্যকীয় আইটেম ছিল এক কাপ মধু, কয়েক বাটি বিশুদ্ধ মাখন আর ৫০টি পাকা কলা। এখনই আঁতকে উঠবেন না। এখনও অনেক বাকি আছে।

রোজ ৩৫-৩৭ কেজি চালের ভাত

পারশ্য আর ইউরোপীয় ভ্যমণকারী বেরবোসা ও ভার্থেমার বর্ণনায় উল্লেখ আছে, মাহমুদ বাগদা দেখতে যেমন দানবের মত বিশালদেহী তেমন তার ক্ষুধাও ছিল রাক্ষসের মত। তিনি নাকি রোজ ৩৫ থেকে ৩৭ কেজি গুজরাটি চালের ভাত খেতেন। খাওয়া শেষে তিনি ডেজার্ট হিসেবে যে ক্ষীর খেতেন তা ছিল কয়েক কিলো পরিমাণ। সেই ক্ষীর তৈরি করতে  ৪ থেকে ৫ কেজি  চাল লাগত।

এরপর রাতেও প্রচুর খেতেন বেগদা। কিন্তু রাতে ঘুম ভেঙে হঠাৎ যদি সুলতানের ক্ষিধে পেয়ে যায় তাহলে কি হবে! এজন্য তার বিছানার দুই পাশে বড় দুই প্লেট সমোসা রেখে দেয়া হত। খাওয়া কাকে বলে এবার বুঝুন তাহলে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.