সামান্য এসব ভুলে সম্পর্কে তিক্ততা বাড়ে

Odd বাংলা ডেস্ক: সম্পর্কের মধ্যে ভাঙ্গা গড়া, ঝগড়াঝাটি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। আসলে মানুষের মনের থেকে জটিল কোনো কিছুই নেই। একথা স্বীকার করেন বিশেষজ্ঞরাও। মানুষের মন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা চালিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সেখানেই দেখা গিয়েছে মানুষের মনের মধ্যে কখন কী চলে তা সঠিক ভাবে বোঝা যায় না। 

মন নিজের সঙ্গেই সব সময় লড়াই করে।তাই সুখ, দুঃখ সবই নির্ভর করে মনের উপর। বিশ্বাস, ধৈর্য, ভারসাম্য সবই নিয়ন্ত্রণ করে মন। এজন্য মনের অজান্তেই আমাদের এমন কিছু অধিকার বোধ চাপে যেখান থেকে সম্পর্কও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সম্পর্কের ভিত্তি হল বিশ্বাস। সেই সঙ্গে অবশ্যই পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা। নইলে সম্পর্কে ভাঙন ধরতে বাধ্য। আমাদের কাজের কিছু ভুলে সম্পর্কে তিক্ততার মাত্রা বাড়তে থাকে। একসময় বিচ্ছেদের মতো সিদ্ধান্তে পৌঁছে যান অনেকে। 

চলুন দেখে নেয়া যাক কোন কাজগুলো ভুলেও সঙ্গীর সঙ্গে করবেন না-  

সঙ্গীকে মিথ্যা প্রতিশ্রতি দেবেন না

কখনোই সঙ্গীকে মিথ্যা কোনো প্রতিশ্রুতি দেবেন না। এতে সম্পর্কে তিক্ততা আসে। কোনো কিছুতে সমস্যা থাকলে তাও স্পষ্ট করে বলুন। তিনি কোনো ব্যাপারে আশা করে বসে আছেন, এদিকে আপনি শেষ মুহূর্তে তা বাতিল করে দিলেন এরকম একদম নয়। সঙ্গীর সম্মান যাতে বজায় থাকে সেই ব্যাপারেও খেয়াল রাখুন।

নিজের গন্ডী বজায় রাখুন

সব সম্পর্কেরই কিন্তু একটা গন্ডী রয়েছে। এছাড়াও সব সম্পর্কের উপরে সব মানুষের নিজেরও একটা জীবন থাকে। তাই সমস্ত বিষয়ে কথা না বলাই ভালো। সঙ্গীর সঙ্গে আপনার অন্যরকম সম্পর্ক ঠিকই কিন্তু তিনি কার সঙ্গে ফোনে কথা বলছেন, কাকে হোয়্যাটসঅ্যাপ করছেন এসব চেক করবেন না। স্ত্রী বা স্বামীর ফোনে কেউ যেমন হাত দেবেন না তেমনই একে অপরকম পাসওয়ার্ডও বলবেন না।

আরো পড়ুন: সাত লক্ষণে বুঝে নিন আপনার প্রেমিক সৎ নাকি অসৎ

অযথা দোষারোপ নয়

কোনো মানুষকেই অযথা সন্দেহ করবেন না। এই সন্দেহবাতিক সম্পর্ক শেষ দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ঠ। সম্পূর্ণ না জেনে কখনোই একে  ওপরের উপর কিছু চাপিয়ে দেবেন না। একটা সম্পর্কে সন্দেহবাতিক সবচেয়ে খারাপ। এখান থেকেই হয় যাবতীয় ভুলবোঝাবুঝি। কেউ যে আপনার খারাপ চাইতে পারে এরকম ভাববেন না।

বোঝাপড়া

সম্পর্কে বোঝাপড়া খুব জরুরি। না হলে কোনো একটা কথা থেকে বদলে যেতে পারে সম্পর্কের মানে। একে অপরকে খুব ভালো বুঝতে হবে। একসঙ্গে সময় কাটাতে হবে। কোনো ব্যাপারে যদি মনে হয় সমস্যা হচ্ছে তাহলে একসঙ্গে বসে কথা বলুন। চেষ্টা করবেন সমস্যা মিটিয়ে নিতে। নিজেদের সমস্যা কখনো বাইরে টেনে নিয়ে যাবেন না। আপনার জন্য যাতে অন্যরা সমস্যায় না পড়েন সবসময় তা খেয়াল রাখবেন।

একসঙ্গে সময় কাটান

দুজনে একসঙ্গে সময় কাটান। কাজের ফাঁকে সময় বের করে নিন। অবশ্যই দুজনের ব্যক্তিগত জীবন আছে। সবসময় নিজের টুকু না দেখে নিজেদের দিকে নজর দিন। যাতে সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকে তাই চেষ্টা করুন। বিয়ের পর প্রথম দুটে বছর নিজেদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই এই সময়টা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিন নিজেদের সম্পর্কে। নিজেদের মতো করে সম্পর্কটা দেখুন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.